রামগতিতে ভুলুয়া নদীর অবৈধ বাঁধ অপসারণের কাজ শুরু Sarwar Sarwar Miran প্রকাশিত: ৭:২৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪ সারোয়ার মিরন: লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা দিয়ে বয়ে চলা ভুলুয়া নদীতে থাকা অবৈধ বাঁধ অপসারণে হাইকোর্টের নির্দেশনায় কার্যক্রম শুরু করেছেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। প্রশাসনকে সহযোগীতা করতে এগিয়ে আসেন স্থানীয় শত শত মানুষ। ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উপজেলার আজাদনগর এলাকার ছৈউয়াখালী সেতু (আজাদনগর বেইলি সেতু) নামক স্থানে কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবীদের অংশগ্রহণে রামগতি উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ভুলুয়া নদীর অবৈধ দখল করা বাঁধ অপসারণের কাজ শুরু করা হয়েছে। রামগতি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আমজাদ হোসেন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস. এম. আব্দুল্লাহ-বিন-শফিক, রিটকারী আইনজীবী এডভোকেট আব্দুস সাত্তার পালোয়ানসহ স্থানীয় কয়েক হাজার জনতা উপস্থিত থেকে এসব অবৈধ বাঁধ অপসারণে অংশ নিয়েছেন। এর আগে ৪ সেপ্টেম্বর এডভোকেট আব্দুস সাত্তার পালোয়ান ভুলুয়া নদীতে বাঁধ দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর সব খাল থেকে অবৈধ বাঁধ অপসারণ চেয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট আবেদন করেন। ৫সেপ্টেম্বর লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর ভুলুয়া নদীসহ সব খাল দখলে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না মর্মে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এতে ভুলুয়া নদীতে অবৈধ দখলের ঘটনা তদন্ত ও অবৈধ বাঁধ অপসারণে সময় বেঁধে আদেশ দেওয়া হয়েছে। আদেশ পাওয়ার ৪৮ঘণ্টার মধ্যে অবৈধ দখলের ঘটনায় তদন্ত শুরু করতে হবে। তদন্তপূর্বক ১০কর্ম দিবসের মধ্যে দখল উচ্ছেদ করে ভুলুয়া নদীর পানি প্রবাহ নিশ্চিত করে হাইকোর্টকে প্রতিবেদন দিতে লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়। রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাত্তার পালোয়ান বলেন, ৪৫দিনেরও বেশি সময় ধরে ভুলুয়া নদীর আশেপাশের এলাকায় প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। বন্যার পানি কমবে কিনা তাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এজন্য প্রথমেই ভুলুয়া নদী থেকে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন হাইকোর্ট। তদন্ত শেষে নদী থেকে অবৈধ বাঁধ অপসারণের জন্য ১০কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমি হাইকোর্টের আদেশ লক্ষ্মীপুরের ডিসি ও রামগতি-কমলনগরের ইউএনওর নিকট হস্তান্তর করেছি। পত্রপত্রিকায় সংবাদ দেখে ইতোমধ্যে প্রশাসন অবৈধ বাঁধ চিহ্নিত করতে তদন্ত শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন। তবে এতে তারা জনসম্পৃক্ততা চেয়েছেন। বন্যা থেকে মুক্তি পেতে সব খালের বাজারের অংশ প্রভাবশালীরা দখল করে রেখেছে। সেই দখলদারদের জরিমানার আওতায় আনা হোক। অবৈধ স্থাপনাগুলো ভাঙা হোক। যেভাবেই হোক খালগুলো দখলমুক্ত করতে হবে। রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আমজাদ হোসেন বলেন, ভুলুয়া নদী থেকে অবৈধ বাঁধ অপসারণে হাইকোর্টের নির্দেশনা হাতে পেয়েছি। এর আগে পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে নিদের্শনার বিষয়টি জানতে পেরে আমরা কাজ শুরু করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সার্ভেয়াররা টিম নিয়ে কাজ করছেন। SHARES আইন আদালত বিষয়: