মেঘনা তীর সংরক্ষণ বাঁধ দ্রুত বাস্তবায়নে খোলা চিঠি Sarwar Sarwar Miran প্রকাশিত: ১১:০৮ অপরাহ্ণ, মে ৩০, ২০২৫ মেঘনা তীর সংরক্ষণ বাঁধের কাজ বাস্তবায়নে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন ড. মুহাম্মদ ইউনুস সরকারের কাছে খোলা চিঠি লিখেছেন রামগতি-কমলনগরের কৃতি ব্যক্তিত্ব গণমাধ্যমকর্মী জুনাইদ আল হাবিব। পাঠকদের জন্য চিঠিটি হুবহু তুলে ধরা হলো- ৩০ মে, ২০২৫ ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। বিষয়: লক্ষ্মীপুরের নদীবাঁধ বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে। জনাব, আমি জুনাইদ আল হাবিব, লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের মেঘনাতীরের বাসিন্দা। বিগত ৫ বছর মেঘনার জলোচ্ছ্বাস আমার এলাকার মানুষের জীবনকে বিপন্ন করে তুলছে। দীর্ঘ তিন যুগ ধরে ক্রমাগত নদীভাঙন, নদীতে অসংখ্য ডুবো চরে নাব্যতা সংকট জেলার রামগতি ও কমলনগরের মানুষের জীবনমানে অস্বাভাবিক পরিবর্তন ঘটিয়েছে। এখানকার মানুষ এখন রীতিমতো লবণ পানির সঙ্গে লড়াই করছে। যে চিত্র এর আগে পশ্চিম উপকূলে ছিল। সেটা এখন পূর্ব উপকূলের এ জনপদে বেশ প্রভাব ফেলছে। মেঘনার অব্যাহত ভাঙনে কমলনগর ও রামগতি উপজেলার অর্ধেক জনপদ বিলীন হয়ে গেছে। বেশ কয়েক বছর ধরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ একনেকের বাজেটে নদীভাঙন রোধে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার বাজেট গ্রহণ করা হলেও দৃশ্যমান অগ্রগতি কেবল কিছু জিওব্যাগেই সীমাবদ্ধ। বিগত সরকারের আমলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্নীতির নানাবিধ চিত্র মানুষ দেখলেও, সেভাবে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এর প্রতিবাদে নামলে স্থানীয় সামাজিক আন্দোলনকারীদের হামলা, মামলা, হত্যার হুমকি পর্যন্ত দেয়া হয়েছিলো। নদীভাঙনে লাখ লাখ মানুষ ঘর বাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব, মানবেতর জীবনযাপন করছে। আপনি লক্ষ্মীপুরের কমলনগরকে চেনেন, এর আগে কমলনগর সংক্রান্ত এক নিউজে আপনি আপনার বিদেশ যাত্রা বাতিল করেছেন। বর্তমানে এ জনপদের মানুষের জীবন-জীবিকা নানাভাবে হুমকির মুখে। নদীতীর রক্ষাবাঁধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজের তেমন অগ্রগতি নেই। একনেকের বাজেটের সময়ও শেষ প্রায়। এদিকে বর্ষাও চলে এসেছে, তীরের মানুষের বাড়িঘর প্রতিদিন জোয়ারে ভাসে। পানির নিচে তলিয়ে যায় হাজার হাজার একরের ফসলের মাঠ। রাস্তাঘাট, পুল-কালভার্ট ভেঙে বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা। নদীতীরের বাঁধ নির্মাণে এ অঞ্চলের মানুষ সেনাবাহিনীকে চেয়েছিল। সেটা বাস্তবায়ন সম্ভব হলেও বিগত সরকার সেটা করেনি। তাদের নিয়োগকৃত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো এখন নয়ছয় করে কাজ করছে। তাদের দেখভাল করার দায়িত্ব থাকলেও স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড যেন নির্বিকার। ৫ বছর আগে এ অঞ্চলে প্রবল জলোচ্ছ্বাসে যে সমস্ত রাস্তা-ঘাট বিধ্বস্ত হয়েছে, তার পুনঃনির্মাণের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এর আগে বিগত বছরের বন্যার ক্ষততো আছেই। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের আপনি অন্যতম পথিকৃৎ। আপনি জানেন, কিভাবে সমাজ উন্নয়ন করতে হয়। আমরা উপকূলবাসী আপনার দিকে চেয়ে আছি, এ অঞ্চলের মানুষের দুঃখ আপনি দূর করতে অচিরেই উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। — জুনাইদ আল হাবিব গণমাধ্যমকর্মী।। SHARES আইন আদালত বিষয়: