কর্তৃত্ব-ক্ষমতার কুপ্রভাব, অন্যায়, হয়রানি নিঃশেষ কবে! Sarwar Sarwar Miran প্রকাশিত: ১০:২৭ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৩০, ২০২০ মারজান আক্তার: সমগ্র বিশ্বের দিকে দৃষ্টি দিলে দেখা যায় প্রায় অনেকখানে নিয়মের তোয়াক্কা না করে প্রভাব খাটানোর মাধ্যমে বিশ্ব ব্যবস্থা পরিচালিত হচ্ছে। যারা এটা করছে তারা নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখার প্রয়োজনে মানবতার সকল নিয়ম লঙ্গন করতে দ্বিদ্বা করছে না। এরা খুব বেশি শাস্তির আওতায় আসে না। কারন উপর মহলে এদের হাত থাকে, বেশির ভাগ মানুষ এদেরকে ভয় পেয়ে মুখও খোলে না, আইনের আশ্রয় ও নেয়া থেকে বিরত থাকে। এমন একটা সময়ে আমরা উপনীত হয়েছে যেখানে ঘরে কম হলে বাহিরের প্রায় সর্বত্র অন্যায় হওয়া স্বাভাবিক নিয়ম, পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ মহলের কারণে অন্যায় সাধুবাদ পায় বলে তারা দিনের পর দিন অন্যায় কাজ চালিয়ে যায়। প্রযুক্তির যুগে এসে বেশির ভাগ ঘটনা সত্যকে মিথ্যা মিথ্যাকে সত্যের মারপ্যচে গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে যার কারনে কোনটি সত্য আর কোনটি মিথ্যা তা জানা সাধারণ মানুষের পক্ষে যেমন সম্ভব হয় না তেমনি ঘটনার সাথে জড়িতরা হয়রানির শিকার হয় এমনকি অনেক সময় সঠিক তথ্য জানাতেও ব্যর্থ হয়। এছাড়া বাহিরের প্রশাসন থেকে শুরু করে প্রায় সকল কাজে অসহায় ও নিরীহরা সর্বত্রই হয়রানির মধ্য দিয়ে কাজে সফল হওয়া একটা সাধারণ বিষয় বলে মেনে নিচ্ছে। যারা এসব অন্যায় করে চলছে তারা কি জানেনা? এ পৃথিবীতে একজন মানুষের হায়াত সীমিত তার ন্যয় ও অন্যায়ের ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা ও ভোগেরও সীমাবদ্ধতা আছে। এছাড়া একজন মানুষের সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য কতটা প্রয়োজন? বর্তমান সময়ের আলোকে একজন মানুষ স্বাভাবিক নিয়মে বয়সের বা অসুস্থতার কারণে অঢেল থাকলেও ভোগ করার সুযোগ পায় না। নিজের কাঁধে সমস্ত পাপ নিয়ে উত্তরসূরীদের জন্য এতএত রেখে যাওয়ার জন্য ও অতিরিক্ত ভোগের জন্য অন্যায় করার কি দরকার? মারা যাওয়া যতটা সত্য পরকালে যার যার কাজের হিসাব তাকেই দিতে হবে সেটাও ততটা সত্য। মানুষ মারা গেলে দুনিয়ার কিছুই সাথে নিতে পারেনা, পরকালে নিজের কাজের হিসাব নিজেকেই দিতে হয়, স্ত্রী, সন্তানদের ইসলামী শরিয়াত মোতাবেক না গড়লে বা চালালে তারা পরকালে কোন কাজে আসবে তো নাই বরং হাশরের মাঠে উল্টো মা-বাবা, স্বামীকে অপরাধী করে দিবে। তাহলে কার জন্য এবং কেন এত অন্যায় করা? আমি বুঝি না। আর যারা এসব অন্যায়ের সাথে জড়িত তারা বেশির ভাগই শিক্ষত (হয় প্রাতিষ্ঠানিক নয়ত অপ্রাতিষ্ঠানিক ভাবে) । “শিক্ষা প্রাতিষ্ঠানিক হোক বা অপ্রাতিষ্ঠানিকই হোক না কেন তা মানুষকে সত্য-মিথ্যা, ভালো-মন্দ, ন্যয়-অন্যায়ের পার্থক্য নির্নয় করে সত্যিকারে মানুষ হতে শিখায় যার দ্বারা শুধু সমগ্রজাতির কল্যাণই হয়, অকল্যাণ নয়”। ‘সাম্প্রতিক মিডিয়াতে অন্যায়গুলোর চিত্র দেখে’ (না জানি আরো কত হাজার হাজার অন্যায় অগোচরে হচ্ছে/আছে) আমার মনে হয় যারা প্রাতিষ্ঠানিক উচ্চ শিক্ষায় জ্ঞানী হয়ে অকল্যাণ মূলক কাজ করেই চলছে তারা কি শিখল? তাহলে কি শিক্ষা তাদের যথাযথ জ্ঞান অর্জন করাতে ব্যর্থ হয়েছে? যদি তাই হয় তাহলে নাম মাত্র এ শিক্ষার কি আদো কোন দরকার আছে? বলেন। যারা কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা দ্বারা সকল অন্যায় ঠেকিয়ে দিতে পারবে তারাই যখন লোভে অন্ধ হয়ে অন্যায়, হয়রানি করে ও সর্মথন দিয়ে যায় তখন সমগ্র অন্যায়ের জয়জয়কার ধ্বনি ঠেকানোর কে বা কোন উপায় থাকে কি? আপনারাই বলেন কবে নিঃশেষ হবে এসব অন্যায়? লেখক: প্রভাষক, এমফিল গবেষক ও ক্ষুদে সমাজবিজ্ঞানী SHARES আইন আদালত বিষয়: মারজান আক্তার