উপজেলা আ.লীগ সভাপতি পদে আবদুল ওয়াহেদ আলোচনার শীর্ষে

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ১১:৫৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৭, ২০২২

দেশালোক:

দীর্ঘ ১৯ বছর পর হতে যাচ্ছে রামগতি উপজেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিল। আগামী ১০ অক্টেবর স্থানীয় আসম আবদুর রব সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহুল আকাঙ্খিত কাউন্সিল। এর মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি। দলের প্রধান পদ সভাপতি। কে হচ্ছেন এ পদের কান্ডারি এ বিষয়ে প্রায় চার শতাধিক কাউন্সিলরের মধ্যে চলছে জল্পনা কল্পনা। ২০০৩ সালে কাউন্সিলের পর থেকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদ। এবার তিনি সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন এবং বিশাল ভোটে বিজয়ী হবেন বলেও আশাবাদী তিনি।

কাউন্সিলর এবং সাধারন নেতাকর্মীদের বেশির ভাগই মনে করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে যে কয়েকজন প্রতিদ্বন্দীতা করছেন তাদের মধ্যে একমাত্র যোগ্য ব্যক্তি অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদ। কারন গত উনিশ বছর ধরে দলের প্রতি আনুগত্য এবং উপজেলা আওয়ামীলীগকে একটি সুসংগঠিত দলে পরিনত করার একমাত্র কারিগর আবদুল ওয়াহেদ।

এ বিষয়ে এ প্রতিবেদকের কথা হয় অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদ এর সাথে। তিনি জানান, গত উনিশ বছর সেক্রেটারি হিসাবে দায়িত্ব পালন ও দলীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নের পথ এত সহজ ছিল না। শুরুর দিকে বিএনপি জামায়াতের জোট সরকারের রোষানলে পড়তে হয়েছে একাধিকবার। শারীরিক ভাবে হামলার শিকার হয়েছি। মামলায় জর্জরিত হয়েছি। উপজেলার প্রতিটি পাড়া মহল্লায় আওয়ামীলীগ সহ অন্যান্য সহযোগি সংগঠনকে সুসংগঠিত করেছি। নেতা-কর্মীদের সুখে দু:খে পাশে থেকেছি। তাই দলীয় নেতাকর্মী এবং কাউন্সিলরদের চাহিদার প্রেক্ষিতে এবার সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছি। আশাকরি জাতির জনকের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সম্মানিত কাউন্সিলবৃন্দরা আমাকে নিরাশ করবেন না। তিনি কাউন্সিলদের প্রতি উদ্দেশ্য করে আরো বলেন, আপনারা দেখে শুনে নেতা নির্বাচন করবেন এ বিশ্বাস আপনাদের প্রতি আমার রয়েছে। আমার আহবান থাকবে আপনারা দলের দু:সময়ে না থাকা কিংবা বসন্তের কোকিল ও দলের প্রতি অবদান রাখতে না পারা কোন ব্যক্তি বিশেষকে নেতা হতে দিবেন না।

রামগতি পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: ওয়ারেছ মোল্লা জানান, আবদুল ওয়াহেদ উপজেলা আওয়ামীলীগের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। শুরু থেকে তিনি দলের প্রতি যে অবদান রেখে চলেছেন তাতে সভাপতি পদে দেখাটাই এর প্রতিদান হবে। আমরা পৌর আওয়ামীলীগ তার পক্ষেই আছি। চর আলগী ইউনিয়ন আওয়ামীলগের সভাপতি মনির উদ্দিন বলেন, সাংগঠনিক ও দলের প্রতি অবদানে আবদুল ওয়াহেদ ভাইয়ের বিকল্প নেই। আমরা তাকে সভাপতি হিসেবে দেখতে চাই।

অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদ এর বিষয়ে অনুসন্ধান করলে জানা যায়, তিনি একাধিকবার চরগাজী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। দু দুবার নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান। উপজেলা জুড়ে পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে তিনি রাজনীতির পাশাপাশি সমাজসেবায়ও রেখে চলেছেন অবদান। তাঁর পিতা মরহুম আহমদ উল্যাহ মিয়া নিজ নামে একটি ডিগ্রি কলেজ, একটি বালিকা বিদ্যালয়, একটি মাদরাসা, একাধিক মসজিদ সর্ম্পূন্ন একক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদও দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাদরাসাসহ বহু সামাজিক-ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নিয়মিত দেখভাল করছেন। পাশাপাশি সভাপতি হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন রামগতি বিবিকে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও আহমদীয়া ডিগ্রী কলেজ এর।

এছাড়াও হাতিয়া-বয়ারচর সীমানা বিরোধ, অত্যাধুনিক মৎস্য অবতরন কেন্দ্র নির্মান, টাংকিবাজার পুলিশ ফাঁড়ি, মেঘনার ভাংগন রোধে সক্রিয় ভূমিকা পালন, চরগাজী ও চর আবদুল্যাহতে একাধিক আশ্রয়ন প্রকল্প স্থাপনে বিশেষ অবদান রেখেছেন তিনি। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার সূবর্ণ সুযোগ থাকলেও তিনি দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তৎকালীন প্রার্থী মো: আবদুল্যাহ (আল মামুন) কে নির্বাচিত করতে সক্রিয়া ভূমিকা রেখেছেন।

বিগত উনিশ বছর ধরে দলের প্রতি আমার শ্রম সাধনা ও সততার সাফল্য সরুপ রামগতি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করার জন্য দলীয়-নেতাকর্মী ও কাউন্সিলরদের সহযোগিতা কামনা করেন অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদ।