লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে বাবা-মেয়ে খুন

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ১:২৫ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩

দেশালোক:

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নে সাবেক স্বামীর হাতে স্ত্রী এবং শ্বশুর খুন হয়েছেন। নিহতরা হচ্ছেন স্ত্রী রাশেদা বেগম (২৮) এবং শ্বশুর বাদশা আলম (৫৫)। ১৩ সেপ্টেম্বর, বুধবার সন্ধ্যা সাতটায় উপজেলার ২নং চরবাদাম ইউনিয়নের পশ্চিম চরকলাকোপা গ্রামের আবুল বাসারের বাড়িতে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে। সাবেক জামাইয়ের হামলা থেকে মেয়ে এবং স্বামীকে বাঁচাতে এসে মারাত্মক আহত হয়েছেন এ ঘটনায় নিহত বাদশা আলমের স্ত্রী আংকরি বেগম (৫০) এবং মা আমেনা বেগম (৭০)।
পুলিশ এবং পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে লক্ষ্মীপুরের দালাল বাজার ইউনিয়নের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের জয়নাল আবেদিন এর ছেলে জাকির হোসেন উরফে সুমন (৩২) এর সাথে বিয়ে হয় রাশেদা বেগমের। বিয়ের পর থেকেই স্বামীকে নিয়ে চট্টগ্রামের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তাদের ঘরে জাহিদ নামের ২বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। সন্তান হওয়ার পর থেকেই জাকির নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। স্ত্রীর আয়ের টাকায় নেশা করতেন। নেশার টাকা না দেয়ায় এর আগেও কয়েকবার মারদোরের পাশাপাশি রাশেদাকে একাধিকবার হত্যার চেষ্টা করেছে জাকির। প্রতিবেশীদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, জাকির হোসেন মূল নাম গোপন করে সুমন নামে রাশেদাকে বিয়ে করেছেন। এর আগেও জাকির দুটি বিয়ে করছেন।
এসব নিয়ে বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য চলে আসছে। বহু দেন-দরবার করার পর মাদকাসক্ত সুমনকে গত বছর তালাক দেন রাশেদা। এরপর থেকেই গ্রামের বাড়িতে বাবার সাথে থাকতেন তিনি। গত মাসে পারবাবিরক ভাবে একই এলাকার মো: কাদের এর সাথে রাশেদা বেগমের দ্বিতীয় বিয়ে হয়।
সাবেক স্ত্রী রাশেদা বেগমের দ্বিতীয় বিয়ের খবর শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন জাকির। বুধবার সন্ধ্যায় শ্বশুর বাড়িতে এসে পেছনের দরজা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে ধারালো ছুরি দিয়ে বাদশা আলমকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। বাবার চিৎকারে মেয়ে রাশেদা বেগম এগিয়ে এলে তাকেও একাধিক চুরিকাঘাত করা হয়। শ্বাশুড়ি আংকরি বেগম এগিয়ে এলে তাকেও চুরিকাঘাত করা হয়। ঘটনাস্থলেই রাশেদা এবং বাদশা আলম প্রাণ হারান বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। আহতদের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটি এলে কৌশলে পালিয়ে যায় জাকির।
সহকারী পুলিশ সুপার (রামগতি-কমলনগর সার্কেল) সাইফুল আলম চৌধুরী জানান, খরব পেয়ে আমি স্থানীয় থানার ওসি মো: সাইফুদ্দিন আনোয়ারসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। নিহতদের লাশ সুরতহালসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়া চলছে। খুনিকে দ্রুত গ্রেফতারে সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।