রামগতিতে ৫৫বছরের ইমামকে রাজকীয় বিদায়

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ১:৫৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ৮, ২০২৪

দেশালোক:

লক্ষীপুরের রামগতিতে মসজিদের ইমামকে বিদায় জানাতে আয়োজন করা হয়েছে ঝাঁকঝমকপুর্ণ অনুষ্ঠানের। বিদায় বেলায় দেয়া হয়েছে নগদ টাকা ও নানান উপহার সামগ্রী। প্রাইভেটকারে করে পৌঁছে দেয়া হয়েছে নিজ বাড়িতেও।

৫৫ বছর ধরে একই মসজিদে ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ৮৫বছর বয়স্ক মাওলানা আবদুল কাইয়ুমকে বিদায়ী এ সংবর্ধনা দিয়েছেন উপজেলার চর রমিজ ইউনিয়নের সাবেক গাবতলী বর্তমানে বিবিরহাট ওছখালী এলাকার সরাফাত আলী হাজী জামে মসজিদের মুসুল্লি এবং এলাকাবাসী।

জানা যায়, বেশ কয়েকবার মেঘনার ভাংগনের শিকার এ মসজিদে ১৯৭০ সালের শুরুর দিকে ইমাম হিসেবে যোগ দেন স্থানীয় বাসিন্দা মাওলানা আবদুল কাইয়ুম। নদীর করাল গ্রাসে নিজের বাড়ি নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচরে স্থানান্তর করলেও মুসুল্লিদের ভালোবেসে থেকে যান এ মসজিদের খেদমতে। অবশেষে বার্ধক্যজনিত কারনে এবং মসজিদটি পুনরায় ভাংগনের শিকার হওয়ায় এবার অবসর নিয়েছেন দায়িত্ব থেকে।

এ উপলক্ষে রোববার সন্ধ্যায় মসজিদ পরিচালনা কমিটি, মুসুল্লি এবং এলাকাবাসীর আয়োজন করেছে এক ঝমকালো বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের। মসজিদের সভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য মিলাদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বক্তা ও সুবর্ণচর হারিছ চৌধুরী জামে মসজিদের খতিব ক্বারী মাওলানা আবদুল মান্নান, মাওলানা হাফেজ মানজুরুল হাসান, বিবিরহাট কেন্দীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ, মাওলানা মোঃ নোমান, বিশিষ্টজনদের মধ্যে আশ্রাফ উদ্দিন, স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ নাছির উদ্দীন, মজিবুর রহমান মঞ্জুসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন মসজিদের খতিব, সামাজিক ব্যক্তিবর্গ ও মুসুল্লীগন। এ সময় এলাকাবাসী বিদায়ী ইমামকে নগদ ১লক্ষ ৫০হাজার টাকাসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী প্রদান করেন।

অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় সুসজ্জিত একটি প্রাইভেটকারে করে তাঁর বর্তমান বাড়ি সুবর্ণচর উপজেলার কাঞ্চন বাজার এলাকায় নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেন তারা। বিদায়ী বক্তৃতায় আবদুল কাইয়ুম দীর্ঘ ইমামতির স্মৃতিতচারণ করেন। এ সময় তাঁর আবেগগন বক্তব্যে মুসুল্লিরা অশ্রম্নসিক্ত হয়ে পড়েন। বিদায়ী ইমামের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া মুনাজাত করা হয়।

মসজিদ কমিটির সভাপতি মিলাদ উদ্দিন ও মুসুল্লি জীবন উদ্দিন, মো: মনির, আবুল কালাম এবং রাতুল হাসান জানান, এলাকাবাসির সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একজন ইমামকে ভালোভাবে অবসরজনিত বিদায়ী সংবর্ধনা দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা চাই দেশের প্রত্যেক ইমামকে সম্মানের সাথে বিদায় দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।