দ্বিতীয় বর্ষে দেশালোক ডটকম

দিনশেষে পাঠকের কাটগড়ায় আমরা

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ১২:১১ অপরাহ্ণ, জুন ১৭, ২০২১

সারোয়ার মিরনঃ সময়ের হিসেবে ৩৬৫দিন। এক বছর। এ আমাদের চলার পথ। এই সেই নয়, কেবলমাত্র নিজের মনের খোরাক মেটানোর লক্ষ্যেই এ চলার শুরু। আহামরি কিছু করে ফেলেছি সে বাহাস করতে যাবো না। বলা চলে আমরা এখনো নেহায়েত হাঁটুগেড়ে চলছি। এই ওঠে দাঁড়াচ্ছে তো আবার লুটিয়ে পড়ছি। দেশালোক ডটকমের কথাই বলতে চাইছি। সুপ্রিয় পাঠক, মানের বিচার কিংবা কনটেন্ট কোনটারই গুনকথা বলার নেই।

করতে চেয়েছি ফিচারধর্মী অনলাইন পোর্টাল। এখনো সে ইচ্ছায় রয়েছি। সময়ের সাথে খাপ খাওয়াতে গিয়ে কিছুটা বিচ্ছুত হয়েছি ঠিকই তবে ফিরে আসতে চেষ্টার কমতি করছিনা। অব্যাহত থাকবে এ প্রচেষ্টা। মূল উপজীব্য সাহিত্য ও সংবাদ। কোনটাই ঠিকমত হয়ে ওঠেনি। না সংবাদ না সাহিত্য! তবে চেষ্টা করেছি রামগতি উপজেলার মা মাটি ও মানুষকে উপস্থাপন করতে। এ জন্মস্থানের যা কিছুই পেয়েছি গোগ্রাসে তুলে ধরেছি। সাহিত্যের বেলাও সেটা। এ সামান্য পথচলায় বেশ কয়েকজন কলম শ্রমিকের সহযোগিতা পেয়েছি। সায়েম মাহমুদ, মারজাহান আক্তার, আশরাফ আলীসহ আরো বেশ কয়েকজনকে। কৃতজ্ঞতার লালগালিচায় তাদের সমবেত করছি। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান নেমপাম বাংলাদেশের আসিফ ভাইয়ের প্রতিও দারুন ভাবে কৃতজ্ঞ।

হ্যাঁ পাঠক! সাহিত্য বিভাগে সাহিত্যের বিচারে মানোত্তীর্ণ কিছু কনটেন্ট আমরা প্রকাশ করেছি। এটা ইচ্ছাকৃতই বলতে পারেন। সাহিত্য কিংবা নতুন লেখক সৃষ্টি এবং লেখালেখিতে অনেকটা অনাগ্রহী এ প্রজন্মকে আগ্রহী ও উৎসাহ যোগাতেই আমাদের এ ছাড় দেয়া! এমন গর্হিত কাজকে সাধুবাদ কিংবা নিন্দাবাদ দুটোই জানাতে পারেন। সে অধিকার পাঠক শুভকাংক্ষী হিসেবে আপনাদের রয়েছে। সবটাই মাথা পেতে নেব। তবে কথা হলো ইদানিং আমরা এ প্রচেষ্টায় কিছুটা আলোর মুখ দেখছি। এটাই এখন আশা জাগানিয়া শুকতারা।

গতো এক বছরে সংবাদ বিভাগেও আলোর ঝলক ছিলো কিছুটা। একাধিক নাগরিক সমস্যা তুলে ধরায় প্রতিকারও পেয়েছি। জাতীয় ভাবে দেশালোক ডটকম থেকে তথ্য উপাত্ত নিয়ে সংবাদ হয়েছে। রেফারেন্স পোর্টাল হিসেবে কাজ করেছি। আমাদের সংবাদ জাতীয় সংবাদ হয়েছে। সমস্যা-সম্ভাবনা, নদী ভাংগন, বন্যা-জোয়ার, পর্যটন, কৃষিসহ প্রায় সবকটি খাতেই আমরা নজর রেখেছি। দৃষ্টির আগোচরে সবক্ষেত্রে বিচরন সম্ভব হয়নি এটা সত্য। মানুষের সীমাবদ্ধতা বলে কথা।

যা করতে চেয়েছি ও যা করেছি এবং ভবিষ্যতে যা করবো-এর মধ্যে চাওয়া পাওয়ার হেরফের হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে সব সময় পাঠকদের বিষয়টাই মাথায় রাখছি। আঞ্চলিক পোর্টাল হিসেবে হয়তো আহামরি কিছু করতে পারিনি। এটা আমাদের ব্যর্থতা হিসেবেই মূল্যায়ন করবো। এর সবটায় দায় আমাদের।

প্রিয় পাঠক-লেখক। আমরা পাঠকের পাশাপাশি লেখক সৃষ্টি করতে চাই। সাহিত্যের প্রতি আকৃষ্ট করতে চাই সবাইকে। সংবাদের স্বচ্ছতা ও বিশুদ্ধতায় কোন ছাড় দেয় না।যা তুলে ধরা হয় যার সবটাতেই বস্তুনিষ্টতা তুলে ধরার কমতি ছিল না। এটাই আমাদের পুঁজি। আর এ পুঁজি নিয়েই আশাবাদি।

এক বছরের পথ চলায় আমাদের প্রচুর সীমাবদ্ধতা ছিল। এটা শিরোধার্য। আপনাদের অব্যাহত সহযোগিতা আগামী দিনেও আমাদের পাথেয় হোক এটাই চাওয়া। আমরা আপনাদের চাওয়ার সম্পূর্নটুকু না হলেও সর্বাধিক প্রচেষ্টা থাকবে পূরন করার। আলোচনা, সমালোচনা, পরামর্শ, অভাব-অভিযোগ, অনুযোগ যে কোন বিষয়ে আমাদের নির্ধিদায় জানাতে পারেন। আমরা স্বসম্মানে গ্রহন করব। আপনাদের জন্য প্রচেষ্টা, আপনারাই এর রক্ষক, ভক্ষক।

বৃহত্তর নোয়াখালীর তিন জেলা- লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী এবং ফেনীসহ দেশের যে কোন বিষয় নিয়ে লিখতে পারেন আমাদেরকে। যা-ই পারেন তুলে ধরেন। সম্পাদনার টেবিলে আমরা তাকে লেখা হয়ে উঠানোর চেষ্টা করবো। স্বনামে প্রকাশ হবে। লিখতে পারেন- গল্প কবিতা, ছড়া, রম্য, উপন্যাস, সংবাদ, ধর্ম-রাজনীতি, সমস্যা-সম্ভাবনা, কৃতিজন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচিতি, নদী ভাংগন, সফল ব্যক্তিত্বসহ যে কোন বিষয়ই।তবে অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন দেশ বিরোধী, ধর্ম বিদ্বেষ, মানহানিকর যেন কোন বিষয় না থাকে।

প্রিয় পাঠক, লেখক এবং শুভাকাংক্ষী!

সফলতা কিংবা বিফলতার হিসেব চুকাতে আসিনি। আসিনি কোন আবদার নিয়েও। আপনারাই আমাদের সম্পদ। আপনারাই দেশালোক ডটকমের প্রাণ। দ্বিতীয় বর্ষে পদার্পনের এ মাহেন্দ্রক্ষনে আজ আর কোন অভিযোগ অনুযোগ নয়। দিন শেষে আপনাদের কাটগড়ায়-ই আমরা! পাশে থাকুন, পাশে রাখুন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

 

–সারোয়ার মিরন

প্রকাশক ও সম্পাদক, দেশালোক ডটকম