আধুনিক সমৃদ্ধ ‘সন্দ্বীপ’ বিনির্মাণে সঙ্গী হতে চান আমজাদ হোসেন Sarwar Sarwar Miran প্রকাশিত: ১০:৫৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৫ দেশালোক: সন্দ্বীপ বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্ব উপকূল বরাবর অবস্থিত চট্টগ্রাম জেলার একটি দ্বীপ। প্রশাসনিকভাবে এটি সন্দ্বীপ উপজেলার অন্তর্গত। সারা পৃথিবী ও দেশ এই আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বসবাস করছে ঠিক তখন বঙ্গোপসাগরে গড়ে ওঠা এ জনপদ অনেকাংশে পিছিয়ে রয়েছে। বরাবরের মতোই এ দ্বীপ এলাকায় যে সব নেতা এবং নেতৃত্বের যে অবয়ব দেখতে পাচ্ছি তাতে আদর্শিক কোন উপায় উপকরণ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। নানান সূচকে অবহেলিত এ জনপদকে ঢেলে সাজিয়ে যুগোপযোগী করার সংগী হয়ে গণমানুুুষের সেবা করতে চান যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন। তিনি ডা: ফজলুল হাজোরা ডিগ্রি কলেজ এর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের লেকচারার হিসেবেও এক সময় দায়িত্ব পালন করেছেন। সে সময় তিনি উপকূলীয় অঞ্চলকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন। মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে একান্ত এক আলাপে বলেন, বর্তমান বিশ্বে গণতন্ত্র মানুষের সৃষ্ট রাষ্ট্র ব্যবস্থাসমূহের মধ্যে উৎকৃষ্টতর বলে বিবেচিত। কিন্তু সেই গণতন্ত্রও আজ নানান রং ধারণ করেছে। লোভী-লালসাগ্রস্থ ও জনবিরোধী নেতৃত্বের হাতে পড়ে সন্দ্বীপে উদারনৈতিক গণতন্ত্র আজ মুমূর্ষু রূপ লাভ করেছে। স্বাধীনতার পর থেকে এ দ্বীপে গণতন্ত্রের মোড়কে স্বৈরতন্ত্র, পরিবারতন্ত্র, গোষ্ঠীতন্ত্র ইত্যাদি নানান গণবিরোধী ব্যবস্থার গোড়াপত্তন ঘটতে দেখা গেছে। এতো দিন সন্দ্বীপের কিছু নেতা সাময়িক সুবিধা কিংবা ব্যক্তি, পরিবার ও গোষ্ঠীগত স্বার্থোদ্ধারের জন্য নীতি, আদর্শ, জনকল্যাণ ইত্যাদি মৌলিক বিষয়গুলিকে জলাঞ্জলি দিয়ে ও ভয় দেখিয়ে শাসন করেছে। তিনি আরো বলেন, আপনার জানেন আমি রাজনীতি নিয়ে পড়াশোনা করেছি, আমি জানি রাজনীতি সবসময় একটি জটিল জিনিস। কূট-কৌশল ও রাজ-কৌশল দুটিই আয়ত্ত্ব করা এত সহজ কাজ নয়। তবুও আমার রাজনীতি যদি সন্দ্বীপের জনগনের জীবনমান পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে, তাহলে রাজনীতিকে দূরে সরিয়ে থাকা আমার ঠিক হবে না। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি জনগণ যদি আমার উপর আস্থা এবং বিশ্বাস রাখে আমি অবশ্যই সন্দ্বীপের উন্নয়নে এসব বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসতে নিরলস ভাবে কাজ করবো। ইনশাআল্লাহ। তিনি সন্দ্বীপের উন্নয়নে কিছু লক্ষ্য উদ্দেশ্যের কথা বলেছেন- যা পাঠকদেও জন্য সংক্ষিপ্তাকারে হুবহু তুলে ধরা হল- (১) সরকারী বরাদ্দকৃত অর্থেও শতভাগ সুষম বন্টন করা হবে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হবে। (২) সন্দ্বীপের প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। (৩) তারুণ্যের শক্তি-সন্দ্বীপের সমৃদ্ধি তরুণ-যুব সমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর ও কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দেওয়া হবে। (৪) কৃষি ও শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধি, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, ক্ষুধা-দারিদ্র্য নিরসন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিবো ইনশাআল্লাহ। (৫) চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপ এবং নোয়াখালী থেকে সন্দ্বীপ যাতায়াতের জন্য স্পীডবোটের পাশাপাশি বিআইডব্লিউ-র জাহাজ ব্যবস্থা করা হবে। (৬) নদী ঘাটে কোন চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি করতে দেওয়া হবে না । (৭) বর্ষাকালে জরুরি রোগী আনা-নেওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় হ্যালিপ্যাড তৈরি করা হবে। (৮) ভূমি অফিস, রেজিস্ট্রি অফিসসহ সরকারী সব অফিসে ঘুষ বানিজ্য চিরতরে বন্ধ করা হবে। (৯) আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রাখতে সব ধরনের প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে। (১০) সন্দ্বীপে কয়েকটি কারিগরি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হবে। (১১) সন্দ্বীপের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি কে এবহবৎধষরুবফ ঝুংঃবস ড়ভ চৎবভবৎবহপবং (এঝচ) সুবিধার জন্য কাজ করা হবে। (১২) সন্দ্বীপের প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। (১৩) কৃষি এবং অন্য মালামাল সংরক্ষণ করে রাখার জন্য কোল্ড স্টোর স্থাপন করা হবে। (১৪) সাধারণ মানুষের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ডাক্তার সন্দ্বীপে রাখা হবে। (১৫) সন্দ্বীপের উন্নয়ন, কর্মসংস্থান এবং বেকারত্ব রোধের জন্য নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরী করা হবে। এজন্য কর্মমুখী, কারিগরি ও ভকেশনাল ট্রেনিং এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ, মূলধন যোগান ও সাহস দিয়ে সহায়তা করা হবে। (১৬) সন্দ্বীপের উন্নয়নকে তরান্বিত করতে বৈদেশিক মুদ্রার সংরক্ষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এজন্য দক্ষ ও পেশাদার নাগরিকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে বিভিন্ন দেশে ভাল চাকরি কিংবা ব্যবসার জন্য পাঠাতে সহায়তা করা হবে। ধীরে ধীরে অদক্ষ শ্রমিকদের বিদেশগামীতা কমিয়ে আনা হবে এরা যাতে সম্মানের সাথে নিজ দেশে পরিবার পরিজন নিয়ে শান্তিতে থাকতে পারে সে ব্যবস্থা করা হবে। (১৭) মাদ্রাসা শিক্ষাকে আধুনিকায়ন করা হবে। (১৮) নদী ভাঁঙ্গা রোধে বৈজ্ঞানিকভাবে নদী শাসন করার চেষ্টা করব। (১৯) জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন জনতার সাথে প্রতিনিধিদের মেলবন্ধন করার জন্য উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হবে। (২০) সব জাতি-ধর্মেও লোকের সমঅধিকার নিশ্চিত করা হবে। মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন আরো বলেন, তিনি সন্দ্বীপের মানুষ এটা খুব ভালো করেই জানেন তৃণমূল থেকে আমি উঠে এসেছি। আমার প্রাণের স্পন্দন সন্দ্বীপের জন্য আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কাজেই এ দ্বীপাঞ্চল এলাকার জনগণ আমার সঙ্গে থাকবেন। SHARES উপকূল বিষয়: