১৯ বছর পর রামগতিতে আ.লীগের কাউন্সিল: পদ-পদবীতে আলোচনায় যারা

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ১:১০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৬, ২০২২

সরোয়ার হোসেন:
দীর্ঘ ১৮বছর পর হতে যাচ্ছে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। আগামী ১০ অক্টেবর স্থানীয় আসম আবদুর রব সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে এ সম্মেলন। আর একে ঘিরেই পদ প্রত্যাশী নেতাকর্মীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। সভাপতি পদে চার জন আলোচনায় রয়েছেন। তাঁরা হলেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াহেদ মুরাদ, সাবেক সাংসদ মো: আবদুল্যাহ, সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদ এবং সহসভাপতি ড. আশরাফ আলী চৌধুরী সারু।
২০১৬ সালের ২৭এপ্রিল সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাওলা চৌধুরী মারা যাওয়ার পর থেকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্রবীন রাজনীতিবিদ ও তৎকালীন বৃহত্তর নোয়াখালী ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ মুরাদ। অন্যদিকে গত ১৮ বছর ধরে সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে আছেন অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদ। একাধিক বার ইউপি চেয়ারম্যান এবং দু বারের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী এ নেতা এবার সভাপতি পদপ্রার্থী। সাবেক সংসদ সদস্য মো: আবদুল্যাহ গত জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়েও দলীয় সিদ্ধান্তে জোটের প্রার্থী বিকল্প ধারার মেজর (অব:) আবদুল মান্নানকে ছেড়ে দিয়েছেন। এর প্রতিদান সরুপ তিনিও চাইছেন সভাপতি পদে আসীন হতে। ২০২১ সালের শুরুতে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি হিসেবে পদভুক্ত হওয়া ড. আশরাফ আলী চৌধুরী সারু ও লড়বেন সভাপতি পদে।
অন্যদিকে সাধারন সম্পাদক পদে বেশ কয়েকজনের নাম শোনা গেলেও আলোচনায় আছেন তিনজন। তারা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য-গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক ও রামগতি পৌর মেয়র এম মেজবাহ উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু নাসের এবং ৯নং চরগাজী ইউপি চেয়ারম্যান মো: তাওহীদুল ইসলাম সুমন। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মরহুম অজি উল্যাহ মিয়ার সন্তান এম মেজবাহ উদ্দিন পরপর দু বার পৌর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আওয়ামী পরিবারের সন্তান হিসেবে রয়েছেন আলোচনায়। বৃহত্তর রামগতি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আবু নাসের এবার লড়বেন সাধারণ সম্পাদক পদে। জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সহসভাপতি, উপজেলা যুবলীগের সদস্য তাওহীদুল ইসলাম সুমনও প্রতিদ্বন্ধীতা করবেন সাধারণ সম্পাদক পদে। এছাড়াও এ পদে লড়বেন আওয়মীলীগ যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপকমিটির সদস্য আবদুজ্জাহের সাজু, ৬নং চরআলগী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো: জাকির হোসেন লিটন চৌধুরী, এবং একই ইউনিয়র আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শাহেদ আলী মনু ও জেলা কৃষকলীগের সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম বিপ্লব। সব মিলিয়ে সাধারন সম্পাদক পদে প্রার্থী হতে পারেন ডজন খানেক নেতা।
সবকিছু ঠিক থাকলে ১৮বছর পর উপজেলা আওয়ামীলীগ পেতে যাচ্ছে নতুন সাধারন সম্পাদক। সভাপতি পদেও আসছেন নতুন কেউ। দীর্ঘদিন পর সম্মেলন হতে চলায় উপজেলা আওয়ামী রাজনীতিতে বইছে সুবাতাস। সম্মেলনকে ঘিরে পদ প্রত্যাশীরা শোডাউন শুরু করেছেন। সকাল থেকে মধ্যরাত অবধি কাউন্সিলরদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন। সোস্যাল মিডিয়াও রয়েছে সরব উপস্থিতি।
সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী তাওহীদুল ইসলাম সুমন জানান, তৃনমূল নেতাকর্মীদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে প্রার্থী হয়েছি। আশাকরি তরুন প্রজন্মের নেতা হিসেবে সবার সমর্থন পাবো। সভাপতি পদপার্থী অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদ বলেন, দেড় যুগ ধরে সাধারন সম্পাদক হিসেবে দলীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করে দলকে সুসংগঠিত করেছি। অতীতে বহুবার মামলা হামলার শিকার হয়েছি। সবার সমর্থন নিয়েই সভাপতি পদে বিজয়ী হব বলে আশাকরি।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এম মেজবাহ উদ্দিন বলেন, পারিবারিক ভাবে আমার গোটা পরিবার আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। দীর্ঘ বছর ধরে দলের জন্য কাজ করেছি। আশা করি দল আমাকে মুল্যায়ন করবে।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে একাধিকবার দিন-তারিখ নির্ধারন করা হলেও বিভিন্ন কারনে হয়নি এ সম্মেলন। এবার তাই পুরো উপজেলা জুড়ে চলছে উৎসবের আমেজ। সম্মেলন ঘিরে রং-বেরংয়ের ব্যানার-পেস্টুনে ছেয়ে গেছে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও রাস্তার দু পাশ।