জেএসডি’র ২২তম কাউন্সিল- সভাপতি আসম রব: সাধারন সম্পাদক স্বপন

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ৮:৪৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৫, ২০২২

দেশালোক:

‘দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের ডাক’ দিয়ে গত রোববার ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)’র ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে আ.স.ম আবদুর রব সভাপতি এবং শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। ৫ ‍ডিসেম্বর (সোমবার) জেএসডির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জেএসডি কাউন্সিলকে সফলভাবে সম্পন্ন করায় দলীয় নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান। এ ছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সংগঠকসহ, শুভাকাঙ্ক্ষী ও শুভানুধ্যায়ীদের ধন্যবাদ জানান তারা।

সম্মেলনে নেতারাসহ সবার উপস্থিতি কাউন্সিলের লক্ষণীয় সাফল্যের সঙ্গে জনগণের স্বার্থের অনুকূলে রাষ্ট্রীয় রাজনীতির সংস্কারেও প্রভাব ফেলবে, জনগণের সার্বিক নিরাপত্তাহীনতা, উচ্চমাত্রার অর্থনৈতিক ঝুঁকি এবং দুঃশাসন মোকাবিলায় সংগ্রাম-আন্দোলনে নৈতিক শক্তি যোগাবে বলে তারা আশাবাদ জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত: আসম আবদুর রব। জাতীয় সমাজতান্ত্রীক দল (জেএসডি) এর প্রতিষ্ঠাতা প্রধান। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক। তাঁর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত সে পতাকা সর্ব প্রথম উত্তোলন করেন আ স ম আবদুর রব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের  ঐতিহাসিক বটতলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে বাংলাদেশের পতাকা তুলে দেন। ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ তিনি পল্টন ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে “জাতির জনক” উপাধি প্রদান করেন।

আ স ম আব্দুর রব ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে তিনি লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ঐ নির্বাচনের পর জাসদ আওয়ামীলীগকে সমর্থন দেয়। ফলশ্রুতিতে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং পশু সম্পদ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭২ সালের ৩১ অক্টোবর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সাত সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির সাতজনের একজন ছিলেন তিনি। হয়েছেন যুগ্ম আহবায়ক।

উল্লেখ্য, আসম আবদুর রব ১৯৪৫ সালের ২ জানুয়ারি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চরবাদামে জন্মগ্রহন করেন। তার বাবার নাম মরহুম আলী আজ্জম  এবং মাতা মাজেদা খাতুন।

দরাজ গলায় বক্তৃতা – বিবৃতির জন্য তাঁকে এশিয়ার যুবকন্ঠ নামেও অভিহিত করা হয়।

তিনি রামগতির শিক্ষা বিস্তারসহ বেশ কয়েকটি উন্নয়ন কর্মকান্ডের জন্য রামগতিতে বেশ পরিচিত। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে আসম আবদুর রব সরকারী কলেজকে জাতীয়করন, পৃথিবীর বৃহত্তম আশ্রয়ন প্রকল্প, ভূলুয়া নদী খনন, ডিজিটাল ফোন এবং বিদ্যুতায়ন, বিশ্ববেড়ি বাঁধ, রাস্তারহাট হাজী এ.গফুর উচ্চ বিদ্যালয়, রামগতি পৌরসভা প্রতিষ্ঠা, সী ট্রাক সার্ভিস চালুকরন।