রামগতি: বঙ্গবন্ধু’র জন্মশতবার্ষিকীতে শেখের কেল্লা’য় আলোচনা সভা

Zobaer Zobaer

Hasan

প্রকাশিত: ৭:৩৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৬, ২০২১

দেশালোক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে রামগতি উপজেলার চর পোড়াগাছার গুচ্ছগ্রামে আলোচনা সভা ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৬মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে মুজিব কিল্লায় জাতির পিতার অনন্য পরিকল্পনা গুচ্ছগ্রাম, ভূমিহীন  পুনর্বাসন এবং উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ – শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রসাশক মো: আনোয়ার হোসেন আকন্দ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মো: রাহিদ হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুচিত্র রঞ্জন দাস, রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সোলায়মানসহ প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।

প্রসঙ্গত, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার বাহিরে সর্বপ্রথম সফর করেন লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে।পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পাবার পর ১৯৭২ এর ২০ ফেব্রুয়ারি উপজেলার চর পোড়াগাছা পরিদর্শনে আসেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজ হাতে ওড়া-কোদাল নিয়ে মাটি কেটে আলেকজান্ডার – সোনাপুর সড়ক নির্মান কাজ উদ্বোধন করেন। যা এখন শেখের কিল্লা কিল্লা নামে সু-পরিচিত।

ঐ দিন এক সমাবেশের প্রধান অতিথি হয়ে এ গ্রামে এসেছিলেন শেখ মুজিব। মাটি কেটে সমাবেশের মঞ্চ তৈরি করেছিলেন নেতাকর্মীরা। মাটির মঞ্চে দাঁড়িয়ে শেখ মুজিব দেশ পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক মুক্তির ঘোষণা দিয়েছিলেন।

স্থানটি রামগতি-সোনাপুর আঞ্চলিক সড়কের পাশে অবস্থিত হলেও দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর পরও এখানে কোন স্মৃতি চিহ্ন বা স্তম্ভ না থাকায় ২০১৭ সালে বেসরকারী সংস্থা ‘ডরপ’ ‘শেখের কিল্লা’ নামফলক নির্মাণ করে। সংস্থাটি স্বপ্ন মা নিয়ে আরো একাধিক কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পদধুলিত রামগতির পোড়াগাছায় ৬০০ একর খাস জমিতে ২১০টি নদী ভাঙ্গা পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য দেশের প্রথম ‘গুচ্ছগ্রাম’ প্রতিষ্ঠা হয়। আগামী প্রজন্মের কথা চিন্তা করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাঁর স্মৃতি বিজড়িত স্থান রামগতি উপজেলার পোড়াগাছার ‘শেখের কিল্লা’ নামক স্থানটিকে স্মরণীয় করে রাখতে এখানে একটি আকর্ষনীয় স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছিলো সরকার।