রামগতিতে পল্লী বিদ্যুতের নৈরাজ্য: বিল ও মিটার সমস্যায় দিশেহারা গ্রাহক

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১, ২০২০

দেশালোক: করোনা শুরু হওয়ার পর থেকেই অস্বাভাবিক বিলের চাকায় পিষ্ট হয়ে আসছেন রামগতি উপজেলার পল্লী বিদ্যুত গ্রাহকরা। নতুন করে শুরু হয়েছে মিটার সমস্যার বিড়ম্বনা। অতিরিক্ত বিলের বিষয়ে অভিযোগ করলে আসে মিটার সমস্যার নানান অযুহাত।

গতো কয়েক মাসে অতিরিক্ত বিলের বিষয়ে একাধিক বার অভিযোগ করা হলেও সমাধান পাচ্ছেন না  গ্রাহকরা। অফিস থেকে বলা হয় লিখিত অভিযোগ জানাতে। বেশির ভাগ গ্রাহক সমস্যার সমাধান না পেয়ে অতিরিক্ত বিলই পরিশোধ করতে হয়েছে।

পরপর দু মাসে অভিযোগ করে গতকাল (৩০ নভেম্বর) সাড়ে চার হাজার টাকার বিদ্যুত বিল মাত্র চারশত টাকা জমা দিয়ে সমাধান করে আসছেন রামগতি উপজেলার চর হাসান হোসেন গ্রামের মো: হাফেজ (মেস্তুরি)।

একাধিক লিখিত আবেদন করেও অতিরিক্ত বিলের সমাধান পাননি পৌরসভার নুরিয়া হাজীরহাট বাজারের ঘর মালিক মো: দুলাল হোসেন। দোকান ঘন বেশ কয়েক মাস ধরে বন্ধ থাকলেও মাত্রাতিরিক্ত বিল আসে তার। বারবার যোগাযোগ করা হলে অবশেষে বলা হয় মিটারে সমস্যা আছে। পাল্টাতে হবে মিটার। এখানেও খরচা দিতে হবে। অবশেষে মিটার পরিবর্তনের জন্য আবেদন করেছেন তিনি।

করোনাকালীন সময়ে মিটার রিডাররা রিডিং না নেয়ায় বিলের কিছুটা হেরফের হলেও বর্তমানে কেন হচ্ছে তা ভেবে পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। এখন তো রিডিং নেয়া হচ্ছে তাহলে কেন অতিরিক্ত বিলের চাপ সইতে হবে?

রামগতি উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের কার্যালয়ে গিয়েও এসব অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। পুরো রামগতি উপজেলায় একটি মাত্র অভিযোগ কেন্দ্র থাকায় রামগতির বিস্তৃর্ন অঞ্চল থেকে আসতে হয় আলেকজান্ডার চর সেকান্দর রাস্তার মাথায়। এখানে আসতে-যেতেও গ্রাহককে গুনতে হয় টাকার খরচা।

বেসরকারি শিক্ষক যাদব দেবনাথ জানান, বিদ্যালয়ে কাজ থাকায় রামগতি বাজার থেকে তার অতিরিক্ত বিলের বিষয়ে সমাধান করতে আলেকজান্ডার বাজারে আসার সময় পাচ্ছেন না। গতো ‍জুলাই মাস থেকে মেঘনার জোয়ার কবলিত হয়ে ঘরে বসবাস না করে ভাড়া থাকছেন অন্যত্র। বন্ধ থাকার পরে তার অস্বাভাবিক বিল এসেছে।

মোবাইল ব্যাংকিং এ্যাপ্স এর মাধ্যমে বিদ্যুত বিল পরিশোধ করা নূরিয়া হাজীরহাট বাজারের ব্যবসায়ী যোবায়ের হাসান জানান, প্রতিদিনই অসংখ্য গ্রাহক অতিরিক্ত বিল বিষয়ে অভিযোগ জানাচ্ছেন। ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। কি করতে হবে জানতে চান।

রামগতি পল্লী বিদ্যুত সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আবু বকর সিদ্দীক দেশালোক ডটকমকে জানান, অনেকেই অটোরিকসা চার্জ দিয়ে থাকেন তাই বিল বেশি আসতে পারে। তারপরেও লিখিত অভিযোগ পেলে বিলের সমস্যা সমাধান করা হবে।