শিক্ষকদের নিয়ে কিছু অহেতুক কৌতুক Sarwar Sarwar Miran প্রকাশিত: ১:১৬ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৭, ২০২০ দেশালোকঃ ইন্টারনেট থেকে শিক্ষকদের নিয়ে কিছু সংগৃহীত কৌতুক- ১) শিক্ষকঃ বলত এভারেস্ট কোথায়? ছাত্রঃ জানি না। শিক্ষকঃ এটাই জানো না! কানে ধরে বেঞ্চের উপর দাড়ালেই সব জানতে পারবে! ছাত্রঃ কেন স্যার? কানে ধরে বেঞ্চের উপর দাড়ালে এভারেস্ট দেখা যাবে? ২) শিক্ষকঃ মাহীন, বলোতো এসিসি তে কি হয়? মহীঃ এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল, স্যার। শিক্ষকঃ ভালো। এবার অনিক তুমি বলো বিবি তে কি হয়? অনিকঃ বাংলাদেশ ব্যাংক, স্যার। শিক্ষকঃ খুব ভালো, এবার রকি তুমি বল, ইএসপিএন এ কি হয়? রকিঃ সারাদিন শুধু খেলা হয় স্যার। ৩) একদিন ক্লাসে শিক্ষক তার সোনার আংটিটা একটা গ্লাসের পানিতে ডুবিয়ে ছাত্রকে প্রশ্ন করলেন। শিক্ষকঃ বল তো, এই আংটিটাতে মরিচা ধরবে কি না? ছাত্রঃ ধরবে না স্যার। শিক্ষকঃ গুড, ভেরি গুড। আচ্ছা বলতো, কেন ধরবে না? ছাত্রঃ স্যার, আপনি জ্ঞানী লোক। যদি পানিতে রাখলে মরিচা ধরতো, আপনি কখনই আপনার সোনার আংটি পানিতে রাখতেন না। ৪) গৃহশিক্ষকঃআমার সঙ্গে সঙ্গে বল, লেখাপড়া করে যে গাড়ি-ঘোড়া চড়ে সে। ছাত্রঃ স্যার, এই কথাটা ঠিক না। শিক্ষকঃ কেনো? ছাত্রঃ কারন, আপনি তো অনেক লেখাপড়া করেছেন! তাহলে আপনি রোজ পায়ে হেঁটে আমাকে পড়াতে আসেন কেন? ৫) স্যার ক্লাশে সবাইকে ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে রচনা লিখতে দিয়েছেন। সবাই মন দিয়ে লিখে চলছে। ৩-৪ মিনিট পরেই স্যার হঠাৎ দেখেন রন্টি জানালা দিয়ে উদাস নয়নে বাইরের মাঠের দিকে তাকিয়ে আছেন। স্যার রন্টিকে ঝাড়ি দিয়ে জানতে চাইলেন, ‘এই তুমি লিখছো না কেন?’ রন্টি: স্যার আমার লেখা হয়ে গেছে! স্যার: মানে? কই তোমার খাতা দেখি? রন্টি স্যারকে খাতা এগিয়ে দিলেন, স্যার দেখলেন খাতায় লেখা রয়েছে ‘বৃষ্টির কারনে ম্যাচ পরিত্যাক্ত ঘোষনা করা হলো।’ ৬) শিক্ষক : ৫টা ফুলের নাম বলো? ছাত্র : ৩টা গোলাপ আর ২ টা জবা। ৭) শিক্ষিকা : লেখো ৫৫। ছাত্রী : কিভাবে মিস? শিক্ষিকা: প্রথমে একটা ৫ লেখো তারপর আরেকটা ৫। ছাত্রী একটা ৫ লিখে থেমে গেলো। শিকিা : কি হলো? ছাত্রী : কোনপাশে লিখবো বাঁপাশে না ডানপাশে?? ৮) শিক্ষকঃ বলো তো, কোনটি আমাদের জন্য অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ, সূর্য না চাঁদ? ছাত্রঃ চাঁদ, স্যার। শিক্ষক(অবাক হয়ে): কেন? ছাত্রঃ চাঁদ আমাদের রাতে আলো দেয় যখন আমাদের প্রয়োজন হয় কিন্তু সূর্য দিনে দেয় যখন আমাদের প্রয়োজন নেই। ৯) শিক্ষকঃ শেরশাহ প্রথম ঘোড়ার ডাকের প্রচলন করেন । ছাত্রঃ কেন স্যার, এর আগে কি ঘোড়ারা ডাকতে পারতো না? ১০) স্যার ছাত্রকে প্রশ্ন করছে। স্যারঃ মিঠু, বলতো গরু আমাদের কি দেয়? মিঠুঃ গরু? গরু আমাদের গুঁতো দেয় স্যার!! ১১) শিক্ষকঃ মন্টি, বলো তো হাসা এর ইংরেজী প্রতিশব্দটি কি? মন্টিঃ লাফ। শিক্ষকঃ তাহলে হাসাহাসি এর ইংরেজী কি হবে? মন্টিঃ লাফালাফি স্যার! ১২) শিক্ষকঃ বলো তো বাতেন, ভেজাল এর বিপরীত কি? বাতেনঃ খাঁটি স্যার। শিক্ষকঃ গুড। বাতেনঃ ব্যাড। শিক্ষকঃ (রেগে) বেআদব! বাতেনঃ আদব। শিক্ষকঃ (আরো রেগে) ওঠ! বাতেনঃ বস। ১৩) শিক্ষক ছাত্রকে বললেন, লেখাপড়ায় তুমি বেজায় খারাপ করছো, কাল তোমার বাবাকে স্কুলে আসতে বলবে, তার সাথে পরামর্শ করতে হবে । ছাত্রঃ কিন্তু তার জন্য যে ফি লাগবে স্যার । শিক্ষকঃ ফি! কিসের জন্য? ছাত্রঃ আমার বাবা যে উকিল। ফি ছাড়া তো তিনি পরামর্শ করেন না । ১৪) স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা আরম্ভ হলো। পরীক্ষার হলে এক ছাত্রী জোরে জোরে কাঁদছে। শিক্ষকঃ তুমি কাঁদছ কেন? ছাত্রীঃ আমার রচনা কমন পড়েনি। শিক্ষকঃ কেন? কী এসেছে? ছাত্রীঃ এসেছে ‘ছাত্রজীবন’। স্যার, আমি তো ছাত্রী। ‘ছাত্রজীবন’ লিখবো কীভাবে। ১৫) রিমন খুবই ফাঁকিবাজ। প্রায়ই দেরি করে স্কুলে যায় আর এজন্য নিত্যনতুন অজুহাতও তার তৈরিই থাকে! তো, একদিন দেরি করে কাসে যাওয়ার পরে স্যার জিজ্ঞাসা করলেন, রিমন, এতো দেরি হলো কেনো? রিমন: আর বলবেন না স্যার! রাস্তা আজকে এতো পিচ্ছিল ছিলো যে, এক পা এগুলে ২ পা পিছিয়ে যাই এমন অবস্থা তো এ অবস্থায় পড়লে দেরি তো একটু হবেই। স্যার: এই অবস্থা হলে তো তোমার আজকে স্কুলেই পৌঁছানোর কথা না! স্কুলে আসলে কিভাবে? রিমন: কেনো স্যার! স্কুলের দিকে পিছন ফিরে হেঁটে হেঁটে এলাম যে! ১৬) বাংলা ব্যাকরণ পড়ানোর সময় শিক্ষক অন্যমনস্ক এক ছেলেকে বললেন, এই ছেলে, সর্বনাম পদের দুইটা উদাহরণ দাও তো। ছেলেটি হচকচিয়ে দাঁড়িয়ে বললো, ‘কে? আমি?’ শিক্ষক: গুড, হয়েছে। বসো। ১৭) স্কুল পরিদর্শনে এসে ক্লাস নাইনের রুমে ঢুকলেন পরিদর্শক। তখন ইতিহাস ক্লাস চলছিলো। ফার্স্ট বয়কে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘বলোতো, সোমনাথের মন্দির কে ভেঙেছিলো?’ ফার্স্ট বয়: (ভয় পেয়ে) আমি ভাঙিনি স্যার, বিশ্বাস করেন, স্যার, আমি কোনোরকম ভাঙচুর করিনি! আমাকে মাফ করে দেন স্যার। পরিদর্শক তখন ক্লাস টিচারের দিকে তাকিয়ে বলছেন, ‘কি বলে আপনার ছাত্র এসব উল্টা পাল্টা?’ শিক্ষক: উল্টা পাল্টা নয় স্যার। আমি ওকে সেই ছোটবেলা থেকেই চিনি। খুব ভালো ছেলে স্যার। মন্দির-মসজিদ ভাঙার মতো কোনো কাজ ও করতেই পারেনা। পরিদর্শক রেগে গিয়ে হেডমাস্টারের কাছে জানতে চাইলেন, ‘এর একটা বিহিত করুন। আপনার সামনেই আপনার ছাত্র আর শিক্ষক মিলে এগুলো কি কথা বলছে?’ প্রধান শিক্ষক: আপনার হয়তো একটু ভুল হচ্ছে স্যার। আমি ইতিহাস শিক্ষককে ব্যক্তিগতভাবে চিনি। সৎ ও সত্যবাদী মানুষ। আমার ছাত্র যদি মন্দির ভাঙতো, তাহলে তিনি সেটা নিশ্চয়ই বলতেন। তাছাড়া আমার ছাত্ররাও খুব ভালো স্যার, ওরা জানালার কাঁচ পর্যন্ত ভাঙেনা, আর আপনি বলছেন মন্দির ভাঙা। আপনি সত্যি সত্যি ভুল করছেন স্যার। পরিদর্শক: ! ১৮) শিক্ষক: রনি, এই ম্যাপে দেখাও তো দেখি আমেরিকা কোথায়? রনি গিয়ে দেখিয়ে আসার পর শিক্ষক: ভেরি গুড। এবার জনি বলতো, আমেরিকা কে আবিস্কার করেছেন? জনি: রনি, স্যার। ১৯) শিক্ষক: বলোতো মন্টু, উভচর কাকে বলে? মন্টু: যা জলে ও স্থলে উভয় জায়গায় চলতে পারে, তাকে বলে উভচর। শিক্ষক: ভেরি গুড। এবার রন্টু একটা উভচর প্রাণীর উদাহরণ দাওতো। রন্টু: হাঁস, স্যার। ২০) ছাত্র তার স্যারকে জিজ্ঞেস করল, স্যার আপনার মাথায় এত্ত বড় টাক কেন? এই কথা শুনে স্যার তার চুল ধরে ইচ্ছেমত টেনে দিল।তখন ছাত্রটি বলল, স্যার এটা মুখে বললেই হত, শুধু প্রাকটিক্যাল দেখাতে গেলেন কেন? (২১) তাহলে তোমরা তো বুঝতেই পারছো, যে প্রাণীটা পানির মধ্যে থাকে তাকে বলে মাছ। আসিফ, বলতো, পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে ছোট্ট মাছ কী? – স্যার, জীবাণু। ……………. অঙ্কের ক্লাশ চলছে। শিক্ষক এক ছাত্রকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘১৫ জন মিলে একটা দেয়াল গাঁথতে ১২ ঘণ্টা সময় লাগে। ৫ জন মিলে সেই দেয়াল গাঁথতে কতোক্ষণ সময় লাগবে?’ ছাত্রটি উত্তর দিলো- ‘ঐ দেয়াল আবার গাঁথতে যাবে কেনো? দেয়াল তো আগের ১৫ জনই গেঁথে দিয়েছে!’ ২২) একদিন ক্লাশে শিক্ষক ছাত্রদেরকে অতিথি পাখি সম্পর্কে বলছিলেন। ঐ যে, যে পাখিগুলো শীতকালে শীতের হাত থেকে বাঁচার জন্য শীতের দেশ থেকে উড়ে উড়ে গরমের দেশে চলে আসে। তো শিক্ষক বলতে বলতে ছাত্রদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করলেন, ‘আচ্ছা, তোমরা কি বলতে পারবে, অতিথি পাখিরা শীতকালে এতো দূরে উড়ে আসে কেনো?’ এক ছাত্র তখন তখনই দাড়িয়ে উত্তর দিলো, ‘এতো দূর তো আর হেঁটে আসা সম্ভব নয়, তাই উড়ে উড়ে আসে। ২৩) বিজ্ঞান ক্লাস চলছে। শিক্ষক বোঝাচ্ছেন, আমাদের জন্য অক্সিজেন কতো প্রয়োজনীয়। ‘আমরা আমাদের নিঃশ্বাসের সাথে অক্সিজেন গ্রহণ করি। সারাটা দিন আমরা নিঃশ্বাসের সাথে অক্সিজেন গ্রহণ করি। তাহলে রাতে আমরা নিঃশ্বাসের সাথে কি গ্রহণ করি?’ সামনের বেঞ্চ থেকে এক ছাত্র দাড়িয়ে বললো, ‘নাইট্রোজেন, স্যার!’ ২৪) রতন আজকে ক্লাসে দেরি করে এসেছে। আর যায় কোথায়, কুদ্দুস স্যার ওকে ক্যাঁক করে পাকড়াও করলেন। তার জোড়াবেতে তেল দিতে দিতে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কি হে রতন, এতো দেরি করে এলে কেন? রাস্তায় খুব জ্যাম ছিলো বুঝি?’ রতন গোবেচারার মতো মুখ করে বললো, ‘আজ্ঞে না স্যার। আমি তো ঘুমাতে ঘুমাতে স্বপ্ন দেখছিলাম। দেখছিলাম কি, আমি ফুটবল ম্যাচ খেলছি। তো ৯০ মিনিট শেষ হয়ে গেলো, কেনো দলই কোনো গোল দিতে পারলো না। খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়ালো। তাতেও কোনো গোল হলো না। এরপরে হলো টাইব্রেকার। তাতে অবশ্য আমরাই জিতলাম। কিন্তু এই অতিরিক্ত সময়ও তো আমাকে ঘুমাতে হলো। নইলে যে খেলাটাই পণ্ড হয়ে যায়। আর তাতেই দেরি হয়ে গেলো! কি করবো স্যার, পুরো খেলা নষ্ট হতে দেয়া যায় না, তাই না স্যার?’ ২৫) ইতিহাস ক্লাশে স্যার নিশিকে দাঁড় করালেন- ‘বলো তো, আকবর জন্মেছিলেন কবে?’ নিশি : স্যার, এটা তো বইয়ে নেই! স্যার : কে বলেছে বইয়ে নেই! এই যে আকবরের নামের পাশে লেখা আছে- ১৫৪২- ১৬০৫! নিশি : ও! ওটা জন্ম-মৃত্যুর তারিখ! আমি তো ভেবেছিলাম ওটা আকবরের ফোন নাম্বার। তাই তো বলি, এত্তোবার ট্রাই করলাম, রং নাম্বার বলে কেন! SHARES গল্প বিষয়: