ধর্ম কিংবা ধর্মগ্রন্থ নিয়ে বাড়াবাড়ি রুখতেই হবে

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ৯:২৯ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৩, ২০২১

সারোয়ার মিরন: মহাগ্রন্থ আল কোরআন সংরক্ষনের দায়িত্ব যেখানে স্বয়ং রাব্বুল আলামিন নিজেই নিয়েছেন। সেখানে ভারতের যদু মধু কদু কি করবে! ভারত কেন বিশ্বের কেউই পারবে না। এর মাজেজা এটাই।

ভারতের প্রধান আদালত কুরআনের ২৬ আয়াত বাতিলের রীট গ্রহন করলেই কি আয়াত গুলো বাতিল হয়ে যেত! কখনোই না। হয়তো ভারতে সাময়িত কোরআনিক প্রচারে প্রবলেম দেখা দিত। কিন্তু মুসলিম বিশ্বে তো নয়!

যাই হোক, অন্যতম প্রধান একটা ধর্মগ্রন্থ কিংবা এর আংশিক কোন বিষয় আসয় নিয়ে অন্য ধর্মাবলম্বী কিংবা স্বীয় ধর্মাবলম্বী কেউ প্রশ্ন তোলা কখনোই উচিত নয়। বরঞ্চ যে বা যারা এমনটি করবে তাদেরকে বিকৃত মস্তিষ্কসম্পন্ন প্রানী উপাধি দেয়াটাই উপযুক্ত শাস্তি।

ইসলাম কিংবা বিশ্বের কোন ধর্ম বা ধর্মগ্রন্থ নিয়ে কারেরই সন্দেহ বা প্রশ্ন প্রকাশ করা গ্রহনযোগ্য নয়। কটু কথাও নয়। রাষ্ট্রেরই উচিত এমন বিকৃতমনাদের কঠোর হস্তে দমন করা। অন্যথায় দেশে- দেশে, ধর্মে-ধর্মে বিবাদ লেগেই থাকবে। বাড়বে বইকি কমবে না! তাই রাষ্ট্র কর্তৃক উচিত ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ির ফাঁকক ফোঁকর বন্ধ করা।

প্রায় চৌদ্দশত বছর পুর্বেই হয়রত মুহাম্মদ (সঃ) বিদায় হজ্জের ভাষনে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য বলে গেছেন। অন্যান্য ধর্মেও ধর্ম পালনের বিষয়ে প্রায় একই কথা বলা রয়েছে। সুতরাং যারা ধর্ম মানেন, বোঝেন তারা কখনোই নিজ কিংবা অন্য কোন ধর্ম নিয়ে বেফাঁস কার্যক্রম করবেন না। আবার যাদের দর্মীয় কোন বিশ্বাসই নেই (নাস্তিক) তাদের তো ধর্ম নিয়ে কোন বাক্য ব্যয় করার সুযোগই নেই!

তারপরেও কিছু অতি উৎসাহী লোক লাইমলাটে আসার হীন চেষ্টায় ধর্মের বিষয় আসয় নিয়ে কটুক্তি করে, মামলা হামলা বাঁধায়। সাময়িক ফিনিক নিয়ে আবার হারিয়েও যায়। এসব অতি উৎসাহীদেরকে ফান্ড দেয়ার সংগঠন সংস্থা ও লোকবলও রয়েছে! সে পক্ষটির একমাত্র চাওয়া ধর্মে-ধর্মে, জাতিতে-জাতিতে সংঘর্ষ হোক। বিনাশ হোক পৃথিবীর। তাতেই ওদের লাভ!

যুদ্ধ বিগ্রহ ছেড়ে শান্তির বানী নিয়ে চলা পৃথিবীতে ধর্ম নিয়ে নতুন সংঘাত কোন ভাবেই কাম্য নয়। প্রকারান্তে যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে-এমনটা মেনে নিতে পারলেই কারো মনে ক্রোধ বা হিংসা জন্ম নেবেনা। এটার ব্যত্যয় ঘটলেই মন মগজে পঁচন ধরে। শরীর স্বাস্থ্য মন খারাপ হয়।

বিশ্বের সকল ধর্মেই মানুষ মানবতা ও শান্তির অভয় বানী ধারন করে। তারপরেও কেন এত ধর্ম নিয়ে সংঘাত! এ স্বমূলে উৎপাটন সময়ের দাবি। মানুষ মানবতার স্বার্থে অতি উৎসাহীদের দমন করা রাষ্ট্রেরই নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করি।

 

লেখক: সম্পাদক, দেশালোক ডটকম।