ঘুর্ণিঝড় মোখা’য় ঝুঁকি এড়াতে রামগতিতে প্রস্তুত ৩১আশ্রয় কেন্দ্র

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ৪:৩৯ অপরাহ্ণ, মে ১৪, ২০২৩

দেশালোক:

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে সারাদিনই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। তবে মেঘনায় দেখা মেলেনি বাতাসের বেগ কিংবা আস্বাভাবিক জোয়ার। নদীতে সব ধরনের নৌযান এবং মাছ ধরার ট্রলার চলাচল বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে আলেকজান্ডার-ভোলা নৌরুটে যান চলাচল।
দুর্যোগপূর্ন এ আবহাওয়া মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন এবং বিভিন্ন দপ্তর বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় অত্যধিক ঝুঁকিতে থাকা ইউনিয়নগুলো হচ্ছে- চরআবদুল্যাহ, চরগাজী, বড়খেরী, চররমিজ, চরআলগী, চরআলেকজান্ডার এবং রামগতি পৌরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড। মোখা মোকাবেলায় মেঘনা উপকূলবর্তী ৬টি ইউনিয়ন এবং এক পৌরসভায় প্রস্তুত আছে একত্রিশটি আশ্রয়ন কেন্দ্র। পাশাপাশি কাজ করছে নয়টি মেডিকেল টিম।
শনিবার সন্ধ্যায় মেঘনা উপকূলের বেড়ীবাঁধ এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসাইন আকন্দ। এর আগে চরআলগী, চররমিজ এবং চরআলেকজান্ডার ইউনিয়নের একাধিক স্থান পরিদর্শন করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ।
উপজেলা জুড়ে সতর্কতা মাইকিং করছে উপজেলা প্রশাসন, সিপিপি এবং ইউনিয়ন পরিষদ। রামগতি পৌরভায় খোলা হয়েছে দশ সদস্যের বিশেষ কন্ট্রোল রুম। এছাড়াও মেঘনা উপকূলে জেলেদের মাঝে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করছে উপজেলা আনসার বিডিপির একাধিক টিম। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: কামনাশীস মজুমদারকে প্রধান করে গঠন করা হয়েছে নয়টি মেডিকেল টিম।
রামগতি থানা পুলিশের উদ্যোগে গঠিত ক্যুইক রেসপন্স টিমের মাধ্যমে বহুল ঝুঁকিপূর্ন দ্বীপ ইউনিয়ন চরআবদুল্যাহর সাধারন জনগনকে চরআলগীর বিভিন্ন আশ্রয়ন কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়াও উপকূলীয় এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত রয়েছে পুলিশের একটি বিশেষ টিম।
রামগতি উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা এসএম শান্তুনু চৌধুরী জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা’য় ক্ষয়ক্ষতি ও ঝুঁকি এড়াতে উপজেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে। এ সংক্রান্ত সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।