রম্যঃ নোয়াখাইল্লা প্যাঁচ Sarwar Sarwar Miran প্রকাশিত: ১২:৫৯ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০ দেশালোকঃ রাস্তায় এক নোয়াখাইল্লা উকিলের সাইকেলের মাডগার্ডে লেগে বরিশাইল্লা ভবেশবাবুর ধুতি ছিঁড়ে গেলো! ভবেশবাবু সাথে সাথে উকিলকে হাত ধরে সাইকেল থেকে নামিয়ে বললেন: যাও কোম্বে? মোর নতুন ধুতি ছেরছ, দাম না লইয়া তোমারে ছাড়তে আছিনা . . উকিল জিজ্ঞেস করলেন: আন্নের ধুতির দাম কয় টেঁয়া? ভবেশবাবু বললেন: ২শ টাহা দেলেই মুই খুশী। উকিল পকেট থেকে ২শ টাকা বের করে দিয়ে দিলেন! ভবেশবাবু ২শ টাকা পকেটে পুরে যেই রওয়ানা হবেন, উকিল ভবেশবাবুর হাত ধরে বললেন: যান কন্ডে, ধুতির দাম দি হালাইছি, অন ধুতি ইগা আঁর!! তখন সেখানে বেশ কিছু লোকের ভিড় জমে গেছে, তারাও ভবেশবাবুকে বলছেন: উনি যখন আপনাকে ধুতির মূল্য দিয়ে দিয়েছেন, তাহলে তো উনি এখন ধুতির মালিক; আপনি ধুতি উকিলবাবুকে দিয়ে দিন! ভবেশবাবু বললেন: হেরে ধুতি দিলে মুই এই লোকভরা রাস্তায় কেমনে হাঁটবাম? উকিল বললেন: আঁই এসব বুজিনা, আঁর ধুতি আন্নে আঁরে দি হালান! ভবেশবাবু বাধ্য হয়ে ২শ টাকা ফেরত দিয়ে বললেন: মোর টাহা লাগবনা, মুই ছেঁড়া ধুতি লইয়া চইল্লা যাই . . . উকিল বললেন: আঁর ধুতি আঁই হাঁশশ (৫০০/) টেয়ার কমে বেইচতান্ন! কি আর করা, ভবেশবাবু উকিলকে ৫শ টাকা দিয়ে ছেঁড়া ধুতি পড়ে ঘরে ফিরলেন. বউ দেখে চিৎকার: ও মনু, তোমার এই দশা করছে কেডা !? ভবেশবাবু: ব্যাডায় যে নোয়াখাইল্লা আছেল, হেইয়্যা বোজতে পারি নাই!! – ইন্টারনেট SHARES গল্প বিষয়: