রামগতি-কমলনগরের উন্নয়ন কাজ গুলোর সঠিক তদারকি প্রয়োজন

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ৮:২১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৮, ২০২০

দেশালোক: নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সঠিক তদারকি না থাকায় উন্নয়নমূলক কাজগুলোর যথাযথ মান নিশ্চিত হয়না। রামগতি-কমলনগর উপজেলার বেলায় কথাটি চির সত্য। উপজেলা ‍দুটিতে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন কাজ চলমান। এর মধ্যে পুল কালভার্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাটবাজার নির্মান এবং রাস্তা ঘাট সংষ্কার।

রামগতি উপজেলার তিনটি রাস্তার কাজ চলমান। তার মধ্যে রামদয়াল বাজার থেকে আদর্শ হয়ে বিবিরহাট পর্যন্ত রাস্তাটির নির্মান কাজ শেষ। কাজ শেষের মাত্র সাত দিনের মাথায়ই রাস্তাটিতে চলাচল করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিম্নমানের কাঁচামাল ব্যবহার করায় এ দৈন্যদশা।

আরো দুটি রাস্তার  কাজ চলমান। এর একটি হলো সাবেক মন্ত্রী আসম আবদুর রব এর নামে হওয়া রব রোড। অন্যটি হলো চর রমিজ ইউনিয়নের কারিগো গোঁজা থেকে ফজুমিয়ারহাট পর্যন্ত বেড়িবাঁধ। বেড়িবাঁধকে কিছুটা নিচু এবং দু দিকে দু ফুট করে চারফুট প্রসস্ত করে সংষ্কার কাজ চলছে।

লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) নির্বাচনি এলাকার মাননীয় সংসদ সদস্য খুব কম সময়ই এলাকায় অবস্থান করেন। তাছাড়া তিনি ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ না হওয়াটাও এর একটা কারন।

একমাত্র সঠিক নজরদারি কিংবা তদারকি না থাকায় কমলনগর উপজেলায় তৈরি এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ আজ নদীর গর্ভে হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম। যে ক’টি পুলি কালভার্ট তৈরি হয়েছে তাও অত্যন্ত নিন্মমানের সামগ্রি দিয়ে করা হয়েছে।

ভিন্ন দল ও মতের সংসদ সদস্য নির্বাচন জটিলতায় এমনিতেই এ দুটি উপজেলা মারাত্মক ভাবে উন্নয়ন বঞ্চিত। আছে মেঘনার ভাংগন বিষয়ের মতো বিরাট বিষয়। নদী বাঁধের কাজটিও দোদুল্যমান।

দীর্ঘদিন পর অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজের সামান্য অংশ শুরু হলেও কাজ গুলো করা হচ্ছে অত্যন্ত যাচ্ছেতাই ভাবে। সঠিক এবং জবাবদিহিমূলক তদারকির অভাব এবং যাবতীয় কুটকৌশলের ফাঁক গলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো হাতিয়ে নিচ্ছে বরাদ্ধের টাকা।

রামগতি উপজেলার একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমরা চাই কাজ গুলো হোক মানসম্মত।কাজের সঠিক মান নিশ্চিতকরনে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দেখভাল একান্ত প্রয়োজন।