রম্য: উদ্ভাবক বল্টু Sarwar Sarwar Miran প্রকাশিত: ৭:০১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১১, ২০২১ ইন্টারনেট থেকে: বল্টু বর্ডার দিয়ে সাইকেল চালাইয়া আসতেছিলো । পিছনের দিকে এক বিশাল বড় বস্তা বাঁধা! বিজিবির চৌকষ অফিসার সাথে সাথে তাকে থামালো – – বস্তায় কী? -স্যার কিচ্ছু না, বালু! -খোল -এইযে দেখেন স্যার, বালু। -আচ্ছা যা। দুইদিন পর আবারও সেই লোক বর্ডার দিয়ে সাইকেল চালিয়ে আসতেছে, পিছনে বড় বস্তা! বিজিবির অফিসার আবারও থামালো! -বস্তায় কী? -স্যার, বালু কিন্তু অফিসারের খটকা লাগলো। সেদিন দেখলাম বালু, আজও বালু? পুরা বস্তা খুলে চেক করলো! কিন্তু বালু ছাড়া কিছুই পেলোনা। – আচ্ছা যা । আবারও কয়েকদিন পর ওই একই লোক, বল্টু বস্তাসহ সাইকেল চালিয়ে আসছে! বিজিবির অফিসার তাকে থামালো! -বালু ? -জ্বে স্যার -তুই শুধু বালু নিয়া যাস। সন্দেহ হয়! অফিসার সব বালু ঘেঁটেও কিছু পেলো না। কিন্তু অফিসারের মনটা খচখচ করেই যাচ্ছে! ঘটনাটা কি? সে কিছু বালু রেখে দিয়ে সেগুলো ল্যাবে পাঠালো! রেজাল্ট কিছুই আসলো না। সব বালু, বালু আর বালু। কিন্তু অফিসারের মনে খচখচ রয়ে গেলো। এভাবে বহুদিন সাইকেলসহ বল্টু বালু নিয়ে যাচ্ছে, এই দৃশ্য দেখতে দেখতে কেটে গেলো। কোন কিছুই পায় না৷ ওদিকে অফিসারের মনে খচখচ! কিছু না কিছুতো আছেই। কিন্তু সে ধরতে পারছেনা । হঠাৎ বল্টু আর আসে না! বহুদিন কেটে গেলেও কোনো খবর নাই। সে আর সাইকেল চালিয়ে বালু নিয়ে যায় না। কাহিনী কি? অফিসার নিজেই তাকে খুঁজে বের করলো। বল্টুর বাড়িতে গিয়ে বললো – “দেখ, আমি জানি তুই কিছু না কিছু পাচার করছোস, কিন্তু আমি ধরতে পারতেছিনা। আমার মনে কোন শান্তি নাই, খাওয়াদাওয়া নাই। বউয়ের সাথে করি খারাপ আচরণ! আমার মনে খালি খচখচ করে। তুই যে কিছু একটা পাচার করতাছস সেটা আমি জানি, কিন্তু ধরতে পারছিনা। তোর দুইটা পায়ে ধরি, সত্যি কইরা বল তুই কি পাচার করস! বল্টু হাসি দিয়া বললো – “স্যার এতদিন সাইকেল পাচার করছি”। শুনে অফিসার বেহুশ ! SHARES কবিতা বিষয়: