আবারো দর্শনার্থীমূখর মেঘনা বেড়ীবাঁধ

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ২:১৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৬, ২০২১

 দেশালোকঃ

চিরচেনা দৃশ্যে ফিরতে শুরু করছে রামগতির মেঘনাপাড় বেড়ীবাঁধ এলাকা। দীর্ঘ সময়ের লকডাউন এবং কঠোর লকডাউন শেষে বেড়েছে দর্শনার্থীদের সংখ্যা। খুলেছে বেড়ীবাঁধ সংলগ্ন দোকান পাট এবং হোটেল রেস্তোরাঁ।

১৫আগস্ট রোববার বিকেলে বেড়ীবাঁধ এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে এমন চিরচেনা দৃশ্যপট। বিধি নিষেধের বেড়াজাল থেকে মুক্তি পেয়ে মেঘনা তীর পেয়েছে পুনঃপ্রান। জেগেছে স্ব-মহিমায়। নদীর নীল জল জল আর তীরের সবুজের সমারোহে দর্শনার্থীরা প্রাণভরে উপভোগ করছেন মেঘনার সৌন্দর্য।

বেড়ীবাঁধের উপরে ভাসমান দোকান ও হকাররা খুঁজে পেয়েছেন জীবন জীবীকার হারানো রসদ। বেচা বিক্রি বাড়ছে। তেমনই একজন রামগতি পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের শামীম। আমড়া বিক্রি করে আয় করছেন দৈনিক ৩০০টাকা। বাদাম বিক্রেতা আলী হোসেনও তার বেচা বিক্রিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

নোয়াখালীর হাউজিং এলাকা থেকে পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘুরতে এসেছেন মোঃ হাসান উজ জামান। তিনি জানান, লকডাউনের একগুয়েমি কাটাতে মেঘনা বেড়ীবাঁধে আসা। ভালোই লাগছে। লোকজনের উপস্থিতি কিছুটা কম থাকায় সানন্দে ঘুরতে পারছেন।

আগস্টের ১২ তারিখ থেকে কঠোর লকডাউন শিথিল করা হলেও দর্শনীয় স্থান গুলো জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করার ঘোষনা দেয়া হয়নি। দু এক দিনের মধ্যে উন্মুক্ত করার ঘোষনা আসবে বলে সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে। এরই ধারাবাহিকতায় দর্শনার্থীদের আনাগোনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রতিদিনই জনসমাগম বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গতো এক বছর ধরে বেড়ীবাঁধ এলাকায় দর্শনার্থীদের ছবি তুলে আসছেন রায়হান। গতো দু মাসে আর আসেন নি তিনি। এ কয়েক দিনে ছবি তুলে মোটামুটি ভালোই আয় হয়েছে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ইদুল আজহার পুর্ব থেকে লকডাউন জারি থাকায় সরকারি ঘোষনার সাথে মিল রেখে উপজেলা প্রসাশন মেঘনা বেড়ীবাঁধ এলাকায় জনসমাগম নিষিদ্ধ রাখে।