রামগতিতে নিম্ন আয়ের মানুষের ভরসা ওএমএস এর চাল-আটা

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ১১:১৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ৭, ২০২২

দেশালোক:

শুক্রববার ছাড়া সপ্তাহে ৬ দিন সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে অনুমোদিত ডিলারগণ ওএমএস এর পন্য সামগ্রী বিক্রি করছে। নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে এটি এখন ভরসার একমাত্র স্থান। খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, আটা।
প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা এবং প্রতি কেটি ১৮ টাকা দরে আটা বিক্রি করছেন ডিলাররা। প্রতি গ্রাহক দিনে একবার করে সর্বোচ্চ ৫ কেজি করে চাল বা আটা ক্রয় করতে পারেন।

রামগতি পৌরসভার মধ্যে ডিলার রয়েছে মো: জিয়াউদ্দিন জিপু, জাফর ইসলাম রাছেল, শাহ মো: রাকিব। মজুদ খাতায় দৈনিক মজুদ, বিক্রয়ের মাষ্টার রোলসহ সকল শর্ত পালন করে খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করছেন তারা। ০৭ মার্চ, সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি ডিলার পয়েন্টে রয়েছে ক্রেতাদের ব্যাপক উপস্থিতি।

সাধারণ মানুষ দামে সস্তা ও সঠিক পরিমাপে খাদ্য সামগ্রী গুলো পাওয়ায় ডিলারদের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছে। ৭নং ওয়ার্ডের আবুর ছেলে মিঠু, ৫নং ওয়ার্ডের বারেক ব্যাপারীর ছেলে আবুল বাশার, ৬ নং ওয়ার্ডের আবদুর রবের ছেলে নুর নবীসহ আরো কয়েকজন ক্রেতা জানান, সরকার আমাদের জন্য ন্যায্য মূল্যে চাল আটা ক্রয়ের ব্যবস্থা করায় খুবই উপকৃত হয়েছি। ডিলারগন সঠিক পরিমাপে খাদ্য সামগ্রী দিচ্ছেন আমরা খুবেই খুশি।

সারা দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বিস্তার লাভ করায় ক্ষতিগ্রস্থ নিম্ন আয়ের জনসাধারণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করণ ও বাজার মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার নিমিত্তে বর্তমান সরকার ওএমএস এর বিশেষ কার্যক্রম চালু করে।

ডিলার মো: জিয়া উদ্দিন জিপু বলেন, নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ যেভাবে প্রতিদিন সারিবদ্ধ ভাবে ভীড় করছে, খাদ্য সামগ্রী আরো বাড়ালে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও সদস্য সচিব মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান জানান, প্রত্যেক ডিলার প্রতিদিন এক টন চাল, এক টন আটা নিদ্ধিষ্ট মূল্যে নিম্ন আয়ের মানুষের নিকট বিক্রি করে। তবে আরো যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।