চর রমিজে বহুমুখী দুর্ভোগঃ প্রায়ই জোয়ারের হানা

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ১২:০৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০

দেশালোক সংবাদঃ অস্বাভাবিক জোয়ারের হানা শেষ হয়ে গেলেও রেখে গেছে ক্সত চিহ্ন। রামগতি উপজেলার চর রমিজ ইউনিয়ন মেঘনা তীর ঘেঁষা। প্রতিনিয়ত হানা দেয় জোয়ার। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্ভোগের শিকার তিন ও নয় নং ওয়ার্ড। গতকাল শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে এমন করুন চিত্র।

বিবিরহাট বাজারের চারপাশের প্রায় সব গুলো সড়কই চলাচলের সম্পুর্ন অনুপযোগী। কোন সড়কেরই নেই বাস্তব রুপ। চলাচলযোগ্য নেই কোন সড়কই। চলার উপযোগী নেই এক কিলোমিটার সড়ক। সর্বত্রই কেবল মেঘনার করাল থাবার দুর্ভোচ চিত্র।

রামদয়াল বাজার থেকে আদর্শ হয়ে রাস্তাটি কিছুটা চলাচল উপযোগি হলেও কার্পেটিং না করায় খাদা খন্দকে ভরপুর। অন্য সব গুলো সড়করেই বেহাল দশা।চরগোসাই এলাকার পূর্ব পশ্চিমে তিনটি সড়ক রয়েছে। তিনটিতেই যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ দুটি সেতু দেবে গেছে স্রোতের তোড়ে।

গতো দু মাস ধরে একাধিক অস্বাভাবিক জোয়ারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এসব সড়ক। সংস্কার না হওয়ায় এলাকাবাসীরা পোহাচ্ছেন নানান দুর্ভোগ। কেউ কেউ ঘরবাড়ি রেখে অন্যত্র ভাড়ায় থাকছেন। আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু এলাকায়।

সড়ক গুলো বিচ্ছিন্ন থাকায় স্বল্প জোয়ারেও লোকালয়ে প্রবেশ করছে পানি। রোপা ধান ও ফসলের ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মাছের ঘের, পুকুর গুলো ভেসে যাচ্ছে।

সড়ক গুলো সংষ্কার না হওয়ায় বিক্ষুব্ধ হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। তাদেরই একজন চর গোসাইয়ের আবদুল মান্নান জানান, রাস্তা গুলোর এমন বাজে অবস্থা এক বস্তা চাল রিকসায় করে আনাও যায় না এখন।

মাজার রোড়ে নিয়মিত চলাচলকারী আবদুস শহীদ জানান, মোটরসাইকেল রেখে দু তিন কিলোমিটার হাঁটতে হয়। ঠেলে ঠেলে গাড়ি বাড়িতে প্রবেশ করাতে হয়।

ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক গোলাম ছারওয়ার দেশালোক ডটকমকে জানান, ইতিমধ্যে আমরা সড়ক ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোর তালিকা পাঠিয়েছি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। জেলা নির্বাহি প্রকৌশল বিভাগ সরেজমিনে পরিদর্শন করে গেছেন। সরকারী অপ্রতুল বরাদ্ধের কথা তুলে ধরে বলেন, এরই মধ্যে পাওয়া সায় সামান্য সরকারি বরাদ্ধ গুলো ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোর মাঝে বিরতন করা হয়েছে।

লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাহি প্রকৌশলী একেএম রশিদ আহম্মদ দেশালোককে বলেন, আমরা এ বিষয়ে অবগত আছি। রিপোর্ট মন্ত্রনালয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে। আশাকরি সহসায় কাজ হবে।