৭ বছরেও সংষ্কার না হওয়ায় রামগতি-ছেউয়াখালী সড়কে ভোগান্তি

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ৯:০৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১

সারোয়ার মিরন:
বর্ষায় জল-কাদা আর শুকনো মৌসুমে বালি-কনা এবং খাদা খন্দকে ভরপুর লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার রামগতি বাজার-ছেউয়াখালী সড়ক। ১৩ কিলোমিটার সড়কের পুরোটাই কার্পেটিং খসে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। ভারি যানবাহন দুরে থাক হালকা দু চাকার যান চলাচল করাটাও দায় হয়ে পড়েছে।

২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে তৎকালীন সাংসদ মো: আবদুল্যাহ আল মামুন সড়কটির উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন। উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে সে সময় সড়কটির ছেউয়াখালী সেতু থেকে সৈয়দ মৌলভীর পোল পর্যন্ত সাড়ে ৭কিলোমিটার কাজ করা হয়। আলাদা যোনের হওয়ায় অবশিষ্ট ৬ কিলোমিটার সড়কের কাজ করা হয়নি তখন। সংষ্কার না হওয়া এ অংশের প্রসস্থকরন কাজ আর করা হয়নি।

চলতি বছরের প্রথম দিকে পন্যবাহী ট্রাক উল্টে রামগতি বাজারের ব্যবসায়ীদের প্রায় তিন লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়। এর পর যাত্রীবাহী উল্টে হতাহতের একাধিক ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে সড়কটি এ অঞ্চলের মানুষের কাছে মূর্তিমান আতংক হিসেবে দেখা দিয়েছে।

গতো ৭ বছর ধরে জনবহুল এ সড়কটির সংষ্কার কাজ না হয় বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী। প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় নানান দুর্ঘটনা। রাস্তা খারাপ হওয়ায় এ রুটে চলাচলকারী সিএনজি চালিত অটো রিকসায় যাতায়াতে যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। চালকরা অভিযোগ করছেন ভাংগাচোরা এ সড়কে গাড়ি চালানোয় তাদের গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশের ক্ষতি পোষাতে মাঝে মধ্যে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হয়।

এ সড়কটি রামগতি বাজার, বয়ারচর, টাংকিসহ উপজেলার দক্ষিনাঞ্চলে যাতায়াতের একমাত্র সড়ক। এছাড়াও জেলা সদর ল²ীপুর এবং পাশের জেলা নোয়াখালীর একাধিক উপজেলায় যাতায়াতের প্রধান সড়কও এটি। এ সড়কেই আছে গুচ্ছগ্রাম বাজার, বাঁধেরহাট, চৌমুহনী বাজার, রামগতি বাজারসহ বেশ কয়েকটি ছোট বড় হাট বাজার।

অপরদিকে চরপোড়াগাছা, বড়খেরী এবং চরগাজী ইউনিয়নের প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ এ সড়ক দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। এ সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আহমদ উল্যাহ সেলিম জানান, রাস্তার অবস্থা এতোটাই খারাপ, কোন মানুষ অসুস্থ হলে এ্যাম্বুলেন্স আসতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে। বেহাল রাস্তায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। বর্ষার সময় পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে উঠে। আমাদের প্রতিদিন জল-কাদা ভেংগে যাতায়াত করতে হয়। এমনকি কয়েকদিন পর মোটরসাইকেলও চলতে পারবে না।

০৯নং চরগাজী ইউপি চেয়ারম্যান তাওহীদুল ইসলাম সুমন জানান, প্রতি সমন্বয় সভায় সড়কটির এ করুন পরিস্থিতি তুলে ধরে দ্রæত সংষ্কারের উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়। খন্ডিত অংশ নয়, আমরা চাই পুরো সড়কটিই সংষ্কার হোক।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদ জানান, রাস্তাটি অত্যন্ত খারাপ এটি সত্য। আমরা একাধিকবার সড়কটি সংষ্কারের জন্য কর্তৃপক্ষকে বলেছি। বর্তমানে এ সড়কটি সংষ্কারের একটি প্রকল্প উপস্থাপনাধীন অবস্থায় রয়েছে বলে জানান।

উপজেলা উপ সহকারী প্রকৌশলী মো: আবদুর রহিম জানান, পুর্নাঙ্গ রাস্তাটি আলাদা দুটি যোনে বিভক্ত হওয়ায় সে সময় সাড়ে ৬কিলোমিটার সড়কের কাজ করা হয়নি। বর্তমানে সড়কটির এ অংশের সংষ্কার কাজের একটি প্রকল্প পাশের অপেক্ষায় আছে। আশা করছি দ্রæত প্রকল্পটির কাজ হবে।