বড় গরুর চাহিদা কম, রামগতিতে খামারীদের মাথায় হাত!

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ১:১০ অপরাহ্ণ, জুন ২৭, ২০২৩

দেশালোক:
ক্রেতাদের চাহিদা না থাকায় বড় গরু বিক্রি হচ্ছে না লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে। উপজেলার আলেকজান্ডার, বিবিরহাট, কারামতিয়া, রামদয়াল বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। অন্যদিকে বড় গরু বিক্রি করতে না পারায় মাথায় হাত উপজেলার অর্ধশতাধিক খামারীর! বিগত দিনগুলোতে অন্যান্য জেলা থেকে পাইকাররা আসলেও এবার তেমনটা দেখা মেলেনি। সব মিলিয়ে গরুর বাজার গুলোতে বড় গরুর চাহিদা কম।

খামারীদের সাথে আলাপে জানা যায়, কুরবানীর ঈদকে সামনে রেখে মৌসুমী খামারী ও ব্যবসায়ীরা গরু পালন করে থাকেন। গো—খাদ্যের উচ্চ মূল্য, শ্রমিকদের অতিরিক্ত মজুরীসহ নানান কারনে গরু লালন—পালন করা বেশ কঠিন পড়েছে। অন্যান্যবার যেখানে দশ—বারোটি গরু মোটাতাজা করা হতো এখন সেখানে করা হচ্ছে তিন—চারটি। এ স্বল্প সংখ্যক গরুও বিক্রি না হওয়ায় হতাশ তারা। প্রতিটা গরু হাঁটে আনতে—নিতে এক দেড় হাজার টাকা খরচ হয়। একটি গরু আনা—নেয়ায় সাথে তিনজন শ্রমিক প্রয়োজন হয়। আবার রাত জেগে পাহারাও দিতে হচ্ছে। এসব খরচ মেটাতেই হিমশিম অবস্থা তাদের। সব মিলিয়ে হতাশ তারা। সাত আট মণ ওজনের গরুর দাম আড়াই—তিন লক্ষ টাকা হলেও ক্রেতারা দাম বলছেন ১লক্ষ ত্রিশ হাজার থেকে ১লক্ষ ষাট হাজার টাকার মধ্যে।

তারা জানান, স্বজনদের গহনা বিক্রি, ঋণ নিয়ে, ধারা—দেনা করে গত ছয় মাস ধরে গরু লানন—পালন করে আসছি ঈদের সময় বিক্রি করব বলে। এখন ক্রেতারা প্রত্যাশানুয়ায়ী দাম না হাঁকায় বিক্রি করতে পারছিনা। লাভ দুরে থাক, খরচটাও উঠবে না।
বাজার ইজারাদারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আশি হাজার থেকে এক লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি গরু বেচা—কেনা হয়। বড় গরু বিক্রি নেই বললেই চলে। খামারী আবদুর রব, শাহে আলম, মনির এবং দেলোয়ার জানান, প্রতিটি গরুর পেছনে দৈনিক ব্যয় হচ্ছে হাজার বারো’শ টাকা। হাঁটে আনা—নেয়ার খরচ আছে। বিক্রি করতে না পারলে পথে বসতে হবে।

উপজেলা নির্বাহি অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা জুড়ে স্থায়ী—অস্থায়ী মিলে ১২টি গরুর হাঁট রয়েছে। এর মধ্যে পৌরসভার অধীনে ২টি। এর সবগুলোতেই বড় গরুর আধিক্য দেখা গেছে। শেষ মুহুর্তে কেনাকাটাও চলছে বেশ ভালো। পাশাপাশি উপজেলায় কুরবানীর জন্য পর্যাপ্ত গরু রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকতা নজরুল ইসলাম জানান, দু তিন ভাগে কুরবানী দেয়ার মত মাঝারি গরু সবচেয়ে বেশি বেচা—কেনা হচ্ছে। বড় গরুর গ্রাহক চাহিদা কম। তিনি আরো জানান উপজেলার সবকটি বাজারে তিনটি মেডিকেল টিম পর্যায়ক্রমে কাজ করছে।