জাতীয়করণ আন্দোলন: শিক্ষার্থীরা এলেও ক্লাস হয়নি রামগতির ১৭ বিদ্যালয়ে

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ৯:৪২ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৬, ২০২৩

দেশালোক:
এমপিওভূক্ত মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করনের দাবিতে লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ১৭ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। রবিবার সকাল দশটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত একটানা বন্ধ থাকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো। হঠাৎ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ করার ঘোষণা আসায় অনেক শিক্ষার্থী তা জানতে পারেননি। তারা সকালে বিদ্যালয়ে এসে উপস্থিত হন। শিক্ষকরা তাদের বুঝিয়ে শুনিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)র চলা চলমান জাতীয়করন আন্দোলনের সাথে একাত্মতা করে রোববার থেকে এ কর্মসূচি পালন করছে রামগতি উপজেলা বেসরকারি শিক্ষক—কর্মচারী সমিতি।
এর আগে বিটিএর ঘোষিত আন্দোলনে যোগ দিতে ঢাকায় গিয়েছেন উপজেলার অর্ধশতাধিক শিক্ষক কর্মচারী। উত্থাপিত দাবি জাতীকরনের আন্দোলনকে গতিশীল করার লক্ষে গত বুধবার করা হয়েছে জাতীয়করন সংগ্রাম কমিটি। এ কমিটির আহবায়ক হচ্ছেন রামগতি উপজেলা শিক্ষক—কর্মচারী সমিতির সভাপতি ও বিবিরহাট রশিদীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তুহিনা আক্তার।
উক্ত আহবায়ক কমিটিতে অন্যান্য শিক্ষক—কর্মচারীদের অন্তভূর্ক্তির পাশাপাশি সদস্য করা হয়েছে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকদেরকে।
সংগঠনের নেতা—কর্মী এবং সাধারন শিক্ষক—কর্মচারীদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, সরকার থেকে সুস্পষ্টভাবে জাতীয়করনের ঘোষনা আসলেই তবে আন্দোলন বন্ধ হবে। অন্যথায় বেসরকারি শিক্ষকেদের নানামূখী বৈষম্য রুখতে এ আন্দোলন অনির্দিষ্টকাল চলতে থাকবে।
শিক্ষকরা আরো জানান, একই দেশে একই শিক্ষা কার্যক্রমে দু ধরনের বেতন—ভাতা কাঠামো থাকতে পারেনা। আমরা খুব দ্রুতই এ বৈষম্য থেকে মুক্তি পেতে চাই। আর্থিক স্বাবলম্বী হয়েই আমরা ফিরতে চাই দেশ গড়ার প্রাত্যহিক সংগ্রামী কাজে।
অন্যদিকে শিক্ষার্থী—অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটলেও শিক্ষকদের ন্যায়সঙ্গত দাবি পূরনে সরকারকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। কারন শিক্ষকদের অপূর্ণ কিংবা অভূক্ত রেখে প্রকৃত শিক্ষা দেয়া সম্ভব হবেনা।