ভোট ব্যাপারী

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২২, ২০২০

মোঃ আল আমিনঃ আগামীকাল নির্বাচন। তাই শীতের মাঝেও হারু বসে আছে। ভোট কিনবে।
হারু বলে, মানুষ বড়ই অদ্ভুত। টাকা দিলে কোলের সন্তানকেও বেচে দেয়। আর ভোট তো মামুলি ব্যাপার। ভোট দিলে কি হবে- তারা কি জানে? জানেনা।
তারা জানে নেতা হবে – এতোটুকো। তারা লাভ লোকসানের হিসাব নিকাশ করে নগদ টাকায়। তাই হারু ঠিক করেছে ভোট কিনবে __নগদ টাকায় ভোট কিনবে। গনা গনা তিন-চারশ ভোট কিনবে টাকা দিয়ে।
জানালা দিয়ে শীতল বাতাস বইছে। গায়ে একটু একটু ঠান্ডা লাগছে হারুর। পাঞ্জাবীর খোলা বুতাম টি লাগিয়ে নিল, হাতা দুটি টেনে টুনে নিল। তবুও ঠান্ডা লাগছে।
“আজ হঠাত এতো ঠান্ডা লাগছে কেন?” হারু ভাবছে। ” অসহ্য। এরা আসছে না কেন? ”
এদের দিয়ে হবে না। কোন কাজ ঠিক মত করতে পারে না। কিন্তু টাকা নিতে জানে। শালারা সব টাকা খোর।
সামনে কোরআন শরীফ। টাকা খোর মানুষজনের নিশ্চয়তা নেই। এই কোরআন শরীফই হারুর বরশা। নিশ্চয়তা। সে কোরআন শরীফটি কে নিয়ে বুকের সাথে লাগাল। তারপর তিন চারবার চুমু দিলো।
শীতল হাওয়া বইছে। ঝিঁ ঝিঁ পোকা ঝিঝি করে ডাকছে। কোথাও কোন মানুষজনের সাড়াশব্দ নেই।
হারু উঠে দাঁড়ালো। দরজার সামনে দাঁড়িয়ে চার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে। কেউ নেই।
ঐ দূরে__দূরে__দুটি ছায়ামূর্তি। পাশাপাশি হাটছে।
এইতো আসছে। ভোটার নিয়ে আসছে। ভোট ব্যাপারী আসছে।

সকালবেলা-
মানুষজন জটলা পাকিয়েছে। মাছি যেভাবে পচা জিনিসের গন্ধে জটলা পাকায়। জটলার মাঝখানে হারুর দেহ। দরজার পাশে ঠান্ডায় সোজা হয়ে পড়ে আছে। ঘুমান্ত মানুষের মত পড়ে আছে। কোন আঘাতের চিহ্ন নেই।