১৭বছর পর আপনাদের সামনে কয়েকটি কথা বলার জন্য দাঁড়িয়েছি: রামগতিতে নিজান Sarwar Sarwar Miran প্রকাশিত: ১০:১৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১১, ২০২৪ সারোয়ার মিরন: “বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আনুষ্ঠানিক হিসাবে সব মিলিয়ে ২হাজার ৪শ ৪২জনের চোখ চিরদিনের জন্য নষ্ট হয়েছে। হাজার হাজার তরুন প্রান, আমাদের ভাইয়েরা, ছাত্র জনতা নিজেদের প্রাণ অকাতরে বিলিয়ে ও বুকের তাজা রক্ত দিয়ে আজকের এ দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন করলো। হাজার হাজার ছাত্র জনতা আজকে গুলিবিদ্ধ। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে বহু নেতাকর্মী, কষ্টে কাতরাচ্ছে। যুবক ছেলে কারো হাত নেই, কারো পা নেই, কারো চোখ নেই। বহৃ শিক্ষার্থী পঙ্গু হাসপাতালে রয়েছে। শুধুমাত্র ছাত্রদলের আড়াইশো নেতা কমীর্ চিকিৎসাধীন রয়েছে। তারপরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আছে, ছাত্রশিবির আছে, অন্যান্য দলের নেতাকর্মী রয়েছে।”- শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নিজ নির্বাচনী আসন লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনে সফরকালে স্থানীয় আলেকজান্ডার বাজারে এক পথসভায় এসব কথা বলেন সাবেক দুইবারের সাংসদ, বিএনপি কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান। ১১আগস্ট (রোববার) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত এ আলোচনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ডা: জামাল উদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি সাবেক মেয়র সাহেদ আলী পটু, সাধারণ সম্পাদক মতুর্জা আল আমিন, কাউন্সিলর দিদার হোসেন খন্দকারসহ অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক এ সংসদ সদস্য আরো বলেন- প্রায় ১৭বছর পর আপনাদের সামনে কয়েকটি কথা বলার জন্য দাঁড়িয়েছি। এমপি থাকাকালীন সংসদীয় স্থায়ী (স্ট্যান্ডিং) কমিটির চেয়ারম্যান ছিলাম। কোনো দিন গাড়িতে পতাকা ব্যবহার করিনি। প্রসাশনের সহযোগিতা চাইনি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রটোকল চাইনি, কোনো দিন গানম্যান ব্যবহার করিনি। ডিসি, এসপিকে বলিনি আপনার বাসায় একবেলা ভাত খাবো। তিনি বলেন, যে আওয়ামীলীগ স্বাধীনতার দাবিদার হিসেবে গর্ব করে সে তারা আমাদেরকে সে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করতে দেয়নি। এগুলো ক্ষমা করা যায় না। ন্যায় কথা বললেই তারা বলে রাজাকার। আমার বাবা হাদী মিয়াও আওয়ামী লীগ নেতা ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। কিন্তু সার্টিফিকেট নেননি। অনেককেই দিয়েছেন ভুয়া সার্টিফিকেট। বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, গত পনের বছর আমাদের নিরপরাদ বহু নেতাকর্মীকে আওয়ামীলীগ মেরেছে, হাত-পা ভেংগে দিয়েছে বিচার চাইতেও পারিনি। উল্টো গায়েবি মালমা দিয়েছে। তিনি বলেন, চলমান আন্দোলনে আমাদের আলেকজান্ডারের যুবনেতা শাহাদাত হোসেন শামীম, চরগাজী ইউনিয়নের সাইফুল ইসলাম, চরমোনাইন পীর সাহেবের কর্মী মাশরুম শহীদ হয়েছে। আমি তাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। ওরা জামায়াতের নিজামী, মুজাহিদ, কামারুজ্জামান ভাইকে খুন করেছে, জামায়াত নিষিদ্ধ করেছে। জামায়াত প্রতিবাদই করেনি। তারপরেও মুছে দিতে পারেনি। আওয়ামীলীগকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তারা শত চেষ্টা করেও ইসলামকে মুছে দিতে পারেনি। আমরা যুদ্ধ করছি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনের জন্য। আমরা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়েছি। আমাদের পূর্ব পুরুষ, পিতারা শুধু চেয়ারম্যান মেম্বার বানানোর জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেন নি! তারা ইউএনও অফিস থেকে ক্যাবিনেট সেক্রেটারি পর্যন্ত ঘুষ খাওয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেনি। সিপাহি থেকে আইজিপি পর্যন্ত ঘুষ খাবে এজন্য যুদ্ধ করেনি! দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ছাত্র জনতার এ আত্মত্যাগ তখনই সার্থক হবে যখন বৈষম্যহীন একটি সমাজ গঠিত হবে তখন। যখন মুসলিম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সকলে মিলে একটি দেশ গঠব। এলাকায় সাতচল্লিশের দেশভাগেও কেউ দেশত্যাগ করে নাই। এদেশে আমার যতটুকু অধিকার একজন হিন্দুরও ঠিক ততটুকু অধিকার। ইসলাম বলেছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের কাছে আমানত। সে আমানত আমাদেরকে রক্ষা করতে হবে। আমরা কারো জান-মাল, ইজ্জতের ক্ষতি করব না। আন্তর্জাতিক কমিশন হবে যে যেটা অন্যায় করেছে তার বিচার হবে। তাদের আইনের হাতে সোপর্দ্য করা হবে। এর আগে বিকেল ৬টায় বিশাল শোডাউন মিছিল বিএনপি’র এ কেন্দ্রিয় নেতাকে বরণ করে নেন। এ সময় যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী মিছিল ও পথসভায় উপস্থিত ছিলেন। SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: