উনিশ মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা চান ৬৫০ আইসিটি শিক্ষক

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ৭:৪২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৯, ২০২০

দেশালোক: ২০১৯ সালের প্রথমে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এর মাধ্যমে নিয়োগ পেয়েছেন ৬৫০জন আইসিটি শিক্ষক। নিবন্ধন উর্ত্তীন শিক্ষক প্রত্যাশী প্রার্থীদের মধ্য থেকে মেধা তালিকা অনুযায়ী এসব শিক্ষক স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের যোগদান করেন।

একই সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে যোগদান কার্যক্রম সম্পাদন করে সকল শিক্ষক পাঠদানে নিযুক্ত হন।য যথারীতি মার্চ-২০১৯ এর এমপিও পেতে অনলাইনে আবেদন করেন তারা। আঞ্চলিক শিক্ষা কর্মকর্তারা (ডিডি) নীতিমালার অযুহাতে এমপিও আবেদন ইএমআইএস সেলে অগ্রায়ন না করে বাতিল করেন।

বহু দেন দরবার করে অবেশেষে ২০২০ সালের ২৬ জুলাই এমপিও আবেদনের জন্য অনুমতি সংগ্রহ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষকরা। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আবেদন অনুমতির চিঠিতে বলা হয় সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের এমপিও আবেদনের দিন থেকেই এমপিও সময় গণ্য করা হবে।

একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসের এমপিও আবেদন অনুমোদন করা হলে দেখা যায় মাউশি কর্তাগন সে কথাও রাখেন নি। চিঠির বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে এক মাসের বেতন ভাতা বাদ দিয়ে মাত্র এক মাসের বেতন ভাতার বিল প্রদান করা হয়।

২০১৯ সালের প্রথমে নিয়োগ কার্যক্রম শেষ। এমপিও দেখা পাওয়া গিয়েছে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে! মধ্যখানে ১৯ মাসের বেতন ভাতা পাননি এসব শিক্ষক।

দীর্ঘ উনিশ মাস বেতন ভাতা না পেয়ে অত্যন্ত মানবেতন জীবন যাপন করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকরা। অনেকেই ধার দেনা এবং ঋণ করে জীবন নির্বাহ করেছেন বকেয়াসহ বেতন ভাতা পাওয়ার আশায়। কিন্তু উনিশ মাসের বকেয়া বেতন ভাতা না পাওয়ায় হতাশায় ভুগছেন শিক্ষকরা।

বেতন ভাতাহীন এতোগুলো মাস অতিবাহিত করা অত্যন্ত কষ্টকর। পাঠদান কার্যক্রমে উপস্থিত থেকেও বেতন ভাতা না পাওয়া দুর্ভাগ্যজনক। দীর্ঘ এ সময়ে প্রতিষ্ঠান থেকেও দেয়া হয়নি কোন সম্মানি। উল্টো প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত বাবদ বাড়তি ব্যয় করতে হয়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর নতুন এমপিওকৃত প্রতিষ্ঠান সমূহের শিক্ষকদের এক বছরের বকেয়া বেতন ভাতা প্রদান করলেও এনটিআরসিএর’র মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া এসব শিক্ষকদের বেলায় বেখেয়ালই রয়েছে কর্তৃপক্ষ।

উনিশ মাসে একজন শিক্ষক প্রায় তিনলক্ষ টাকা বকেয়া প্রাপ্য হবেন। এছাড়াও একটি ইনক্রিমেন্ট, অভিজ্ঞতাকাল থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।

২০১৬ সালের গনবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ২০১৯ সালে নিয়োগ পাওয়া ভুক্তভোগী শিক্ষকদের একজন চাঁদপুরের মো: ইসমাইল হোসেন জানান, সরকার নিয়োগ দিয়ে আমাদের বেতন না দেয়া হতাশাজনক। আমরা আমাদের পরিশ্রমের মূল্য চাই।

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার একটি বিদ্যালয়ে নিয়োগ পাওয়া সারোয়ার হোসেন জানান, নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বেতনের ব্যবস্থাও করবে সরকার। নানান অজুহাতে বেতন ভাতা না দিয়ে আমাদের সাংবিধানিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে। আমরা আমাদের ন্যায্য পাওনা চাই। শ্রমের বিনিময় চাই।