রামগতিতে কলাগাছের তৈরি মিনারেই ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা-স্মরণ Sarwar Sarwar Miran প্রকাশিত: ১:৪৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৩ দেশালোকঃ লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার বিস্তীর্ণ জনপদে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে কলাগাছ ও কাঠের তৈরি অস্থায়ী শহিদ মিনারই ভরসা। আশপাশে কিংবা স্বপ্ল দূরত্বে স্থায়ী কোন শহিদ মিনার না থাকায় এমন শহিদ মিনারেই পুষ্পার্ঘ্য অর্পন করেছেন এসব এলাকায় বিভিন্ন শ্রেনি ও পেশার মানুষ। ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে এবং ২১ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) ভোরে উপজেলার চর রমিজ, চরগাজী, বয়ারচর, টুমচর, চরমেহার, চর বাদাম, চরপোড়াগাছাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় গিয়ে তেমনটিই দেখা গেছে। চরমেহার (আদর্শ) এলাকায় কলাগাছ দিয়ে শহিদ মিনার বানিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন এলাকাবাসী। তারা জানান, রাতে বা ভোরে দুরের কোথাও গিয়ে শহিদ মিনারে ফুল দিতে যাওয়াটা বেশ কষ্টের। তাই এলাকাতেই মিনার তৈরি করে ফুল দিয়েছি। চর রমিজ ইউনিয়নের সেন্টার সংলগ্ন তালতলায় বেশ কয়েকজন মিলে সারা রাত ধরে তৈরি করেছে কলাগাছের শহিদ মিনার। খোলামাঠে তৈরি মিনারের সামানেই কাঁথামুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে আছেন কয়েকজন। জানতে চাইলে তারা বলেন, আশপাশে কোথাও শহিদ মিনার নেই। তাই আমরা কয়েজন মিলে শহীদ মিনার বানিয়েছি। উপজেলার রঘুনাথপুর পল্লীমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়ে পুষ্পার্ঘ্য অর্পন করা হয়েছে কাঠ দিয়ে তৈরি শহিদ মিনারে। বিদ্যালয়ে ভবন নির্মানাধীন থাকায় এবার অস্থায়ী ভাবে তৈরি করা হয়েছে এ মিনার। এছাড়াও মেঘনা উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় অস্থায়ী ভাবে নির্মিত শহিদ মিনারেই পালিত হয়েছে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি। উপজেলার প্রায় সবকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মহাবিদ্যালয় গুলোতে নিজস্ব অর্থায়নে স্থাপিত স্থায়ী শহীদ মিনার থাকলেও বেশিরভাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে নেই স্থায়ী শহিদ মিনার। ফলে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আশপাশের বিভিন্ন স্থানে কিংবা অস্থায়ী শহিদ মিনারেই শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে। বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ‘স্বপ্ন নিয়ে’র অর্থায়নে নির্মিত শহিদ মিনারে প্রথমবারের মতো নিজস্ব আঙিনায় শহিদ দিবস পালন করেছে পুর্ব চরগাজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: