বিজয়ের মাসে শেখের কেল্লায় হোক উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ১১:০৩ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৮, ২০২০

দেশালোক: জাতির জনকের স্মৃতি বিজড়িত রামগতি উপজেলার শেখের কিল্লায় বিজয়ের মাসেও নেই কোন আয়োজন। স্মৃতি রক্ষার্থে আজো হয়নি কোন স্তম্ভ কিংবা স্মারক চিহ্ন। ঐতিহাসিক এ স্থানটিকে ঘিরে অবহেলার বলয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীও। স্মৃতিস্তম্ভসহ বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য স্থান নির্ধারন  করা হলেও কাজ শুরু হয়নি এক বছরেও।

মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার বাহিরে সর্বপ্রথম সফর করেন লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে।পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পাবার পর ১৯৭২ এর ২০ ফেব্রুয়ারি উপজেলার চর পোড়াগাছা পরিদর্শনে আসেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজ হাতে ওড়া-কোদাল নিয়ে মাটি কেটে আলেকজান্ডার – সোনাপুর সড়ক নির্মান কাজ উদ্বোধন করেন। যা এখন শেখের কিল্লা কিল্লা নামে সু-পরিচিত।

ঐ দিন এক সমাবেশের প্রধান অতিথি হয়ে এ গ্রামে এসেছিলেন শেখ মুজিব। মাটি কেটে সমাবেশের মঞ্চ তৈরি করেছিলেন নেতাকর্মীরা। মাটির মঞ্চে দাঁড়িয়ে শেখ মুজিব দেশ পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক মুক্তির ঘোষণা দিয়েছিলেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই ঐতিহাসিক স্থান ও স্মৃতি সুরক্ষার লক্ষ্যে সরকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সংস্কৃতির চর্চার বহুবিধ সুবিধা সম্বলিত কমপ্লেক্স নির্মানের উদ্যোগ গ্রহণ করলেও বাস্তবে তা দেখা যায়নি।

আগে ২০১৯ সালের ২১ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) সকালে ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী চর পোড়াগাছা ইউনিয়নে জাতির পিতার স্মৃতি বিজড়িত স্থান পরিদর্শন করেন।

তখন গুচ্ছগ্রাম নুরানী মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছিলেন, এ সরকার শহর থেকে শুরু করে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। সরকার ইতিমধ্যে ৫০ হাজার পরিবারকে গুচ্ছগ্রামের আওতায় নিয়ে এসেছেন। এ প্রকল্প চলমান থাকার পাশাপাশি এদেশের কোনো পরিবার যাতে ভূমিহীন না থাকে সরকার সেই লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে।

স্থানটি রামগতি-সোনাপুর আঞ্চলিক সড়কের পাশে অবস্থিত হলেও দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর পরও এখানে কোন স্মৃতি চিহ্ন বা স্তম্ভ না থাকায় ২০১৭ সালে বেসরকারী সংস্থা ‘ডরপ’ ‘শেখের কিল্লা’ নামফলক নির্মাণ করে। সংস্থাটি স্বপ্ন মা নিয়ে আরো একাধিক কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পদধুলিত রামগতির পোড়াগাছায় ৬০০ একর খাস জমিতে ২১০টি নদী ভাঙ্গা পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য দেশের প্রথম ‘গুচ্ছগ্রাম’ প্রতিষ্ঠা হয়। আগামী প্রজন্মের কথা চিন্তা করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাঁর স্মৃতি বিজড়িত স্থান রামগতি উপজেলার পোড়াগাছার ‘শেখের কিল্লা’ নামক স্থানটিকে স্মরণীয় করে রাখতে এখানে একটি আকর্ষনীয় স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছিলো সরকার।

মহান বিজয়ের মাসে শেখের কিল্লা’য় সরকার ঘোষিত বহুমুখী প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন চান এলাকাবাসী ও সচেতন মহল।