ইংরেজি বর্ণমালা প্রায়োগিক উচ্চারণ -০১

Sarwar Sarwar

Miran

প্রকাশিত: ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৯, ২০২১

সায়েম কাজল:

নিজেকে সবসময়ই একজন রোডসাইড এমবিএ ভাবা আমি যেখানেই পাই কিছু শিখতে চাই- যেমন ধরুন রাস্তার উপর থাকা বিশাল বিলবোর্ড থেকে আমি একটা শব্দের অর্থ জেনে গেলাম, কোথাও একটা তথ্যের একটু ভিন্নরূপ দেখলেই চট করে গুগল করা আমার নিত্যদিনকার কর্ম হয়ে দাড়িয়েছে। আমি এসব করতে বেশ পছন্দ করি বলেই হয়তো ফেসবুকে ঘুরতে থাকা অধিকাংশ শিক্ষামূলক ভিডিয়োই আমার চোখকে ফাকি দিতে পারে না – ও হ্যাঁ – তার উপর নিজেকে একজন ট্যাক স্যাভি দাবি করতেও কম করি না ।

সে যাই হোক – আমার লিখার মূল টপিক হয়ত ধরতে পেরেছেন বিস্তারিত কি নিয়ে বলবো তার আগে বলি এর নিয়ামকটা কী বা শুরুটা কেনো এমন৷ – ইদে বাড়ি আসি নাই এমন ঘটনা আমার জীবনে এখনও আসে নি চেষ্টাও করছি না বাড়ির বাহিরে ইদ করার – আরেহ দ্যাত কি সব বলে লিখা বড়ো করতাছি!

ইদে দেখা দেশলোকের সম্পাদকের সাথে – কথায় কথায় উঠে আসলো হ্যাডম্যানের পরিচালক ও প্রধান রিসোর্স পারসন ইমাম হোসাইন ভাইয়ের একটা ভিডিয়োর কথা – তিনি সে ভিডিয়োতে কয়েকটা ইংরেজি এলফাবেটের ঠিক উচ্চারণ নিয়ে কথা বলেছেন সাথে এও বলেছেন যে এগুলো জানা মানেই অর্ধেক ইংরেজি জানা হয়ে গেলো৷ এর দুদিন পর আমার বড়ো ভাইয়ের সাথে মাঝারি ধরনের এক জার্নিতেও একই বিষয় নিয়ে আলাপ হওয়াতেই মাথায় আসলো এ নিয়ে লিখার। ইমাম সাহেবের ভিডিয়োটা ঠিক আছে তবে আমার কিছু সম্পূরক মন্তব্য আছে এই মর্মে যে উনার এই ভিডিয়োটি সম্পূর্ণ নয়। কেনো সম্পূর্ণ নয় সেটাই আমার এ লেখার আলোচ্য বিষয়।

তিনি তার বক্তব্যে তিনটি লেটার নিয়ে আলাপ করেছেন সেগুলো হলো – T, K, A। এই শব্দগুলো তিনি যে উচ্চারণ বিধি বলেছেন তা ঠিক তবে এইগুলোই শব্দভেদে ভিন্নভাবে উচ্চারিত হয়ে থাকে – চলুন দেখি৷

ইমাম ভাই একজন বিদগ্ধ পন্ডিত এ ব্যাপারে তাকে ভুল বলার সাহস বা জ্ঞান কোনোটাই আমার নেই- আর সেটা আমি করছিও না। শুধু আমার পাঠকদের জন্য আমি সম্পূরক আলোচনা করছি – এ পর্বে আমরা শুধু T ‘টি’ নিয়ে কথা বলবো। ধারাবাহিকভাবে বাকিগুলোও আলোচনা করবো – ইন শা আল্লাহ।

ইংরেজিতে এলফাবেট বা লেটার আছে পুচিশটি কিন্তু উচ্চারণ বা আইপি সিম্বল আছে ৪৪ টি। তো প্রশ্ন আসতে পারে এমন কেনো? বাংলায়ও একই রকম – সে নিয়ে অন্য কোন লেখায় আলাপ করা যাবে।

এই চুয়াল্লিশটি সিম্বলের উৎপত্তি মূলত হয়েছে আমরা কিভাবে একটা লেটারকে উচ্চারণ করি তার উপর নির্ভর করেই- লেটারের চেয়ে বেশি সিম্বল আসার কারন হচ্ছে একই লেটারের একাধিক উচ্চারণ বা এক লেটার অন্য আরেকটা লেটারের সাথে যুক্ত হলে তার ভিন্নরূপ উচ্চারণের কারণে যেমন T- টি/ট/ঠ/ড এরূপ উচ্চারিত হলেও এর সাথে যখন এইচ বা হেইচ যুক্ত হয়ে পরে তখন কিন্তু আর একই উচ্চারণ হয় না বরং আলতো ‘থ’ এর মত উচ্চারণ হয় উদাহরণ- Thank- থ্যাংক ( ত্যাংক) – ( দুটোর একটিও কিন্তু এটার ঠিক উচ্চারণ নয় কিন্তু বাংলার লিখে এটার ঠিক উচ্চারণ দেয়াও সম্ভবপর হবে না)।

T- লেটারটির কয়েকরকম উচ্চারণ ইংরেজিতে লক্ষ করা যায় – ট/ঠ/ড আবার ত ও দেখা যায়।

Better- এই শব্দটিতে ‘T’ উচ্চারিত হয় তবে অনেককেই বেডা/বেঠা উচ্চারণ করতেও দেখবেন৷ এখানে আরেকটা বিষয় বলে রাখা ভালো – ইংরেজিতে কোন ডাবল লেটারের উচ্চারণ নাই সবই সিংগেল যেমন এখানেই বেট্টা/বেড্ডা/বেঠ্ঠা না হয়ে হয়েছে বেঠার/বেডার। আরও একটি বিষয় হচ্ছে ব্রিটিশ উচ্চারণে শেষে R (র) হলে সেটা অনুচ্চারিত থেকে যায়। তবে আমেরিকানরা ‘র’ উচ্চারণ করেন।

Student- চমৎকার এবং বহুল ব্যবহৃত একটি শব্দ যেখানে একই শব্দে T এর একাধিক উচ্চারণ বিধি মানে৷ এটার ঠিক উচ্চারণ – ( স্ঠিউডেন)। প্রথম T টা উচ্চারিত হয়েছে ‘ঠ’ পরেরটা অনুচ্চারিত রয়ে গেছে৷ কেনো হয়েছে সে উত্তর আমার জানা নেই – তেমনি Twenty ( ঠুয়েনি)।

Computer- (কম্ফিউটা’র/কম্ফিউটা) – এই শব্দটির উচ্চারণের দিকে তাকালে আবার আমরা দেখতে পাবো T এর উচ্চারণ হচ্ছে তবে আলতোভাবে। এখানে একটা বিষয় হয়তো খটকা লাগতে পারে এই ভেবে যে আমি নোয়াখালীর মানুষের মতো প কে কেনো ফ বলি৷ আদতে এটা ‘প’ ও হবে না আবার ‘ফ’ ও হবে না৷ এরা এটাকে উচ্চারণের সময় এমনভাবে বলে যেনো মুখ থেকে একটা চাপযুক্ত হাওয়া বের হয় যা শুনতে অনেকটা ‘ফ’ এর কাছাকাছি।

এবার একটু আরবী ভাষাভাষি মানুষের দিকে যাই- প্রায়ই অনেককে দেখবেন ‘T’ কে ‘ত’ এর মতো উচ্চারণ করে এটা ভুল না। যারা আরবি ভাষী তাদের একটা বর্ণ আছে ‘তা’ অন্যদিকে আরবিতে কিন্তু ট,ঠ,ড বলে কিছু নেই সেজন্যই মুলতো তারা T থাকলে তার উচ্চারণ করেন ‘ত’। উপরের শব্দগুলোর উচ্চারণ তারা এভাবে করেন – স্তুদেন, বেতার, তোয়েনি, কম্পিতার।

প্রতিটা ভাষারই আসলে একটি নিজস্ব স্বকীয়তা থাকে যার কারণে এক ভাষাকে বা সে ভাষার উচ্চারণকে অন্য ভাষার সাথে মিলিয়ে জানার বা বুঝার চেষ্টা করলে সফল হওয়ার সম্ভাবনা কমই- আগের জানা জ্ঞানকে সব জায়গায় খাটানোর এ প্রচেষ্টাকে ভাষাবিদরা ইংরেজিতে ওবারজেনারালাইজেশন(. Over generalization) নামে অভিহিত করে থাকেন।

লেখক:

ইংরেজিতে অনার্স-মাস্টার্স

আন্তর্জাতিক ইসলামীক বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম

ও বেসরকারি চাকুরে